আজ খবর ডেস্ক:
ভারতের একমাত্র রাজ্য হিসেবে শুরু করেছিল কেরালা (Kerala)। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে স্পেন (Spain), ইন্দোনেশিয়া (Indonesia) সহ একাধিক দেশে মহিলাদের ঋতুকালীন ছুটি (Menstrual Leave) দেওয়া হয়।
সম্প্রতি স্কুল কলেজের ছাত্রী ও সরকারি অফিসের মহিলা কর্মীদের সবেতন ঋতুকালীন ছুটির আর্জি জানিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা (PIL) দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে।
আবেদনে বলা হয়েছিল, ঋতুস্রাবের যন্ত্রণায় বহু মহিলাই সমস্যায় থাকেন। ওই সময়ে তাঁদের স্কুলে বা অফিসে যাতায়াত থেকে ছাড় দেওয়া হোক। কিন্তু সেই আবেদন শুনতেই চাইল না সুপ্রিম কোর্ট।
আইনজীবী বিশাল তিওয়ারির প্রতিনিধিত্বকারী শৈলেন্দ্র মণি ত্রিপাঠির দায়ের করা একটি পিটিশনের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের ৩ সদস্যের বেঞ্চের বক্তব্য, এই বিষয়টি একেবারে নীতিগত সিদ্ধান্ত। মহিলাদের ঋতুকালীন ছুটি দেওয়া হবে কিনা তা সরকার নীতিগত ভাবে স্থির করবে। সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে কোনও নির্দেশ দিলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যোগ্যতা থাকলেও মহিলাদের অনেকে কাজে নাও নিতে পারেন।
প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের সঙ্গে ওই বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি পিএস নরসিংহ এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা। তাঁরা বলেন, সবচেয়ে ভাল হয় যদি আবেদনকারী এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের কাছে আর্জি জানায়।
এই বিষয়টি নিয়ে এদিন সুপ্রিম কোর্টে খুব কম সময়ের জন্যই শুনানি হয়।
বস্তুত সরকারি চাকরিতে ঋতুকালীন সময়ে ছুটি না থাকলেও বহু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মাসের এই সময়ের জন্য ছুটি বা ওয়ার্ক ফ্রম হোমের (Work From Home) ব্যবস্থা করেছে। কারণ এই সময়ে ঋতু যন্ত্রণা নিয়ে স্কুলে বা অফিসে যেতে অনেকেরই সমস্যা হয়।