আজ খবর ডেস্ক:
Mamata Banerjee security মাস কয়েক আগেই মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) বাড়িতে ঢুকে পড়েছিলেন এক ব্যক্তি। সারারাত সেখানেই কাটিয়েছিলেন, সকলের নজর এড়িয়ে। প্রশ্ন উঠে যায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়ে। জানা যায়, ওই ব্যক্তির হাতে লোহার রড ছিল।


এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ‘ডিরেক্টরেট অব সিকিয়োরিটি’র (Director of Security) কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়। ওই এলাকায় নিরাপত্তার একাধিক পদক্ষেপের পাশাপাশি ‘পেরিমিটার ইন্ট্রুশন ডিটেকশন সিস্টেম’ (PIDS) বসানোর সিদ্ধান্ত হয়। Mamata Banerjee security

এবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি ঘিরে প্রায় ৫৬ লক্ষ টাকা খরচ করে এমন একটি নজরদারি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে, যা সজাগ থাকবে ২৪×৭। নজরদারিতে মানুষের ভুল হলেও জানান দেবে যন্ত্র।

মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ‘ডিরেক্টরেট অব সিকিয়োরিটি’ এবং কলকাতা পুলিশের কর্তাদের বক্তব্য, ওই এলাকায় গেলেই বোঝা যাবে, নিরাপত্তার বন্দোবস্ত কতটা আঁটসাঁট। রাতে তো দূর, দিনেও কেউ বিনা কারণে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির গলিপথে ঘোরার সুযোগ পান না।
কড়া নজরদারি চালানোর জন্য জরুরি একটি কন্ট্রোল রুম (Control Room) ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই শেষ হয়েছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরা লাগানোর কাজও।


পুলিশকর্তাদের মত, নজরদারির এমন ব্যবস্থা এ রাজ্যে এই প্রথম। এর আগে দিল্লি ও মুম্বইয়ের কিছু কড়া নিরাপত্তা এলাকায় এ জিনিস ব্যবহার হয়েছে।

নয়া ব্যবস্থার অঙ্গ হিসাবে ৩০টি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। একেকটি খুঁটির সঙ্গে উঁচু জায়গায় ক্যামেরা ও সেন্সর লাগানো ডিভাইস বসানো থাকছে। ক্যামেরায় ছবি তোলার পাশাপাশি সেন্সরের আওতায় কেউ ঢুকলেই সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত কন্ট্রোল রুমে সতর্কবার্তা যাবে। যা খতিয়ে দেখে পুলিশ জরুরি পদক্ষেপ করতে পারবে।


এমনকী, এই ব্যবস্থায় কোনও গাড়ি সেন্সরের মধ্যে দিয়ে গেলে তার সঙ্গে যুক্ত ফোন নম্বরও কন্ট্রোল রুমে পৌঁছে যায়। এই সেন্সর ও ক্যামেরার ব্যবস্থা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির আশপাশের একাধিক গলি ও হরিশ মুখার্জি রোডের কিছু জায়গায় লাগানো হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *