আজ খবর ডেস্ক:
ঋতু বদলের (Season Change) সময় জ্বর (Fever), কাশি (Cough) এমনকী, মুখে অরুচি হয়েই থাকে। স্বাদ বদলাতে তেতো খাবার খুবই সাহায্য করে৷ এ সময় বাঙালি হেঁসেলে উচ্ছের (Bitter Gourd) ব্যবহার বেড়ে যায়৷
অ্যান্টি ভাইরাল (Anti Viral) বৈশিষ্ট্য থাকার জন্য সর্দিকাশি, মরশুমি জ্বরজারি, ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে প্রতিরোধ শক্তি তৈরি করতে সাহায্য করে উচ্ছে৷
উচ্ছের ভিটামিন সি এবং বিটা ক্যারোটিনয়েডস অ্যালার্জি (Allergy) প্রতিরোধ করে৷ বিভিন্ন উৎসেচকের সক্রিয়তা বাড়িয়ে লিভারকে সুস্থ রাখে৷

এই সময় চোখের সংক্রমণ (Eye Infection) কনজাংটিভাইটিসের প্রাদুর্ভাব হয়৷ উচ্ছের বিটা ক্যারোটিনয়েডস উপাদান এ ক্ষেত্রেও প্রতিরোধী৷
তবে অন্যান্য খাবারের মত উচ্ছে বা করলাও অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়৷ দিনে ৩০ থেকে ৪০ গ্রাম পর্যন্ত উচ্ছে খাওয়া ঠিক আছে৷ তার বেশি না খাওয়াই ভাল৷
অনেকেই ভাবেন, নিয়মিত উচ্ছে, করলা খেলে রক্তে শর্করা (Diabetes) নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন অন্য কথা। Bitter Gourd

অতিরিক্ত উচ্ছে বা করলা বিপদ ডেকে আনতে পারে।
১) করলার রস অতিরিক্ত সেবনে পেটব্যথা, ডায়রিয়া হতে পারে।
২) ডায়াবিটিস রোগী এবং যে কোনও ওষুধ সেবনকারীরা করলার রস বা উচ্ছে খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৩) আয়ুর্বেদ অনুসারে, করলার রস অতিরিক্ত সেবনে শুক্রাণুর (Sperm) গুণমান হ্রাস পায়। তাই আপনি যদি সন্তানের জন্ম দেওয়ার কথা ভাবেন, তাহলে এই রস না খাওয়াই ভাল।

৪) গর্ভবতী মহিলা এবং হৃদরোগীদের করলার রস খাওয়ার আগে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
৫) মধুমেহ রোগী, যাঁরা ওষুধ খান বা ইনসুলিন (Insulin) নেন, তাঁরা দিনে কতটা উচ্ছে খাবেন সে বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নেবেন৷
৬) উচ্ছে বা করলার খাদ্যগুণ সর্বোত্তম পেতে সিদ্ধ করে খান৷ ভাজাভুজি করে উচ্ছে খেলে নষ্ট হয়ে যাবে এর স্বাস্থ্যগুণ৷

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *