আজ খবর ডেস্ক:
Eve Teasing “ঝলক দিখলা যা.. একবার আজা আজা..”, “আজা আজা পিয়া আব তো আজা” অথবা
“আজা, আজা, ম্যায় হুঁ পেয়ার তেরা”! কে জানত, এসব গানেই লুকিয়ে আছে চরম বিপদ? যৌন হেনস্থার (Sexual Harassment) দায়ে অভিযুক্ত হতে পারেন। এমনকী, হতে পারে হাজত বাসও (Jail)। Eve Teasing
২০১৫ সালে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা সম্পর্কিত মামলায় এমনটাই পর্যবেক্ষণ মুম্বাইয়ের (Mumbai) দিন্দোশির একটি দায়রা আদালতের। এই আদালত অভিযুক্ত, ৩২ বছরের এক ব্যক্তিকে যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা আইনের (POCSO) অধীনে দোষী সাব্যস্ত করেছে।

জানা গিয়েছে, দশম শ্রেণির এক ছাত্রী অভিযোগ করে যে অভিযুক্ত ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে, টিউশনে যাওয়ার পথে তাকে অনুসরণ করত। আদালতে ওই নাবালিকা জানিয়েছিল, হেঁটে যাওয়ার পথে প্রতিদিন ওই ব্যক্তি বারবার ‘আজা আজা’ উচ্চারণ করে সাইকেলে তাকে অনুসরণ করতো। নির্যাতিতা জানায়, প্রথম দিনই সে রাস্তায় পথচারীদের সাহায্য নিয়েছিল। তারা অভিযুক্তকে ধাওয়া করে ধরার চেষ্টা করলেও সে সাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।
কয়েকদিন পরে, নাবালিকা ওই ব্যক্তিকে পাশের একটি বিল্ডিংয়ে নৈশ প্রহরী (Night Guard) হিসাবে কাজ করতে দেখে। বিষয়টি পুলিশের কাছে তুলে ধরে একটি অভিযোগ ও দায়ের করে। সেপ্টেম্বর ২০১৫ তে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে অভিযুক্তকে ২০১৬ সালের মার্চ মাসে জামিন দেওয়া হয়।

এই মামলার সূত্রে বিচারকের পর্যবেক্ষণ, কোনও মহিলার পিছু নিয়ে তাঁকে ‘আজা, আজা’ বলে ডাকাও যৌন হেনস্থার আওতায় পড়ে।
পাল্টা অভিযুক্তর আইনজীবী দাবি করেন, তাঁর মক্কেল ওই নাবালিকাকে কেবল ‘আজা আজা’ বলে ডেকেছিলেন। এটাকে যৌন হেনস্থা বলা যায় না।
এর পরেই মুম্বইয়ের আদালত জানায়, ‘আজা, আজা’ বলে বারবার ডাকাটাকেও যৌন হেনস্থা হিসেবেই ধরা হবে। কারণ, ওই ডাকের মধ্যে যৌন কামনার ছাপ রয়েছে। অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এর পরে যুবক আদালতকে জানায়, তার জেল হলে স্ত্রী আর তিন বছরের সন্তান খেতে না পেয়ে মারা যাবে। অতিরিক্ত দায়রা বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেছেন শেষমেশ।

এদিকে প্রায় এরকমই আরেকটি ঘটনায় বম্বে হাইকোর্টের ঔরঙ্গাবাদ বেঞ্চ তিনজন অভিযুক্তকে প্রাক-গ্রেপ্তার জামিন মঞ্জুর করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ছাদ থেকে শিস দিয়ে একজন মহিলার শালীনতা ক্ষুন্ন করার অভিযোগ ছিল।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *