আজ খবর ডেস্ক:

আপডেট: তুরস্কে ফের ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা তিন হাজারেরও বেশি ! ভারতীয় সময় সন্ধে সাড়ে ৬ টা নাগাদ ফের তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মধ্য তুরস্ক। রিখটার স্কেলে যার পরিমাপ ছিল ৭.৮ । গত ২৪ ঘন্টায় এই নিয়ে পরপর তিনবার ভূমিকম্প অনুভূত হল। প্রথমবার ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়ালেও দ্বিতীয় ধাক্কা ছিল অল্প। তৃতীয় বার ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যাতে তাসের ঘরের মত ধুলোয় মিশে গেলো একের পর এক শহর। যার ফলে কয়েক হাজার মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারী ভাবে জানানো হয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরো অনেক বেশী বলে জানাচ্ছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম। এদিন সন্ধ্যায় একই সঙ্গে সিরিয়া, ইরান ও ইরাকের সীমান্তবর্তী এলাকাতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তবে সেখানে জীবনহানীর সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তুলনায় কম।

Turkey-Syria Earthquake সোমবার তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে বিধ্বংসী ভূমিকম্পে (Turkey-Syria Earthquake) মৃতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়ে গেল। তুরস্কে এখনেও পর্যন্ত ২৮৪ জন নিহত এবং দুই হাজারের বেশি মানুষ আহত বলে জানিয়েছে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতাই।

অন্যদিকে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, সেখানে অন্তত ২৩৭ জন নিহত এবং ৬০০র বেশি মানুষ আহত। সিরিয়া সীমান্তে তুরস্কের গাজিয়ানটেপ এলাকা ভূমিকম্পের উৎসস্থল হলেও তীব্র কম্পন ছড়িয়ে পড়ে সিরিয়াতেও। রিখটার স্কেলে ৭.৮ মাত্রার সেই ভূমিকম্পে প্রতি মুহূর্তে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। Turkey-Syria Earthquake

সিরিয়ার আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ভেঙে পড়েছে অজস্র বাড়িঘর। অন্যদিকে তুরস্কের মালাতিয়া প্রদেশে অন্তত ১৩০টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে বলে সূত্রের খবর।
সোমবার ভোর ৪.১৭ নাগাদ তুরস্কের দক্ষিণ পূর্বের ওসমানিয়া প্রদেশের গাজিয়ানটেপ (Gaziantep) এলাকায় প্রথমবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়, যা স্থায়ী হয় প্রায় ৪০ সেকেন্ড। কম্পনের উৎস ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৩ কিলোমিটার গভীরে।

সূত্রের খবর, প্রথম কম্পনটির ১৫ মিনিট পরেই আরও একটি কম্পন অনুভূত হয়, যার মাত্রা রিখটার স্কেলে ৬.৭। পরপর কম্পনের জেরে দেশটির অন্তত ৮টি প্রদেশে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলির গভর্নরদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তাইয়িপ এরদোগান।

ইতিমধ্যেই উদ্ধারের কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে এলাকাগুলিতে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে অজস্র বাড়িঘর ভেঙে পড়ার এবং ফাটল ধরার ছবি দেখা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে মূলত উদ্বাস্তু পরিবারের বাস।

তাঁরা বেশিরভাগই তাঁবু এবং অস্থায়ী ছাউনি তৈরি করে বসবাস করেন। তাঁদের অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন ইতিমধ্যেই। যাঁরা বেঁচে গেলেন কোনও মতে, ভয়ঙ্কর এই ভূমিকম্প তাঁদের মাথা গোঁজার আশ্রয়টুকুও কেড়ে নিয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *