আজ খবর ডেস্ক:
Viral Infection জ্বর-সর্দি-কাশি তো ছিলই। সেইসঙ্গে এবার বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়ার (Bacteria) হানা। শহরে বাড়ছে বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়া, স্ট্রেপটোকক্কাস (Streptococcus pneumoniae) নিমোনিয়ার সংক্রমণ। আক্রান্ত অনেককেই ভর্তি করতে হচ্ছে হাসপাতালে। তাই জ্বর হলে অবহেলা করবেন না, পরামর্শ চিকিৎসকদের। Viral Infection


এই শীত, এই গরম। ঋতু বদলের সময় এমনতিই সর্দি-কাশি-জ্বর (Viral Fever), নানা সংক্রমণজনিত রোগের বাড়াবাড়ি হয়। এ বছর আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার কারণে সর্দি-জ্বরে ভোগান্তিও বেড়েছে। ঘরে ঘরে ভাইরাল জ্বর, একবার অসুস্থ হলে ৭-১০ দিনের আগে দুর্বলতা কাটছে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু করোনা (Corona Virus) নয়, অন্তত ১২ ধরণের বিপজ্জনক ভাইরাস শহরজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, কলকাতায় (Kolkata) যাঁরা জ্বর, সর্দি, কাশি, কিম্বা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের অধিকাংশেরই অসুখের পিছনে রয়েছে এই বিশেষধরণের ব্যাকটেরিয়া।
উপসর্গ সাধারণ সর্দি-কাশির মতোই। বাড়ির একজনের হলে সবার হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত, ড্রপলেট, হাঁচি, কাশির মাধ্যমেই একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ। সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics) দিয়ে সব সময় সামলানো যাচ্ছে না এই রোগকে।

চিকিৎসকদের পরামর্শ, বাড়ির কেউ আক্রান্ত হলে তাঁকে একটি ঘরে আইসোলেশনে রাখলেই ভাল। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে কলকাতার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে (ICU) অন্তত ২০০ জন এই বিশেষপ্রকার ব্য়াকটেরিয়া জনিত নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি।
করোনার একদম প্রথম সময়ের কিছু প্রজাতিও ছড়িয়েছে, যেমন– করোনাভাইরাস ২২৯ই, এনএল৬৩, ওসি৪৩ এবং এইচকেইউ১। করোনা মহামারী শুরুর সময়ে এই প্রজাতিগুলোর দেখা মিলেছিল। পরে এদেরই জেনেটিক মিউটেশন
হয়ে পরবর্তী প্রজাতিগুলো ছড়িয়ে পড়ে। এখন দেখা যাচ্ছে, পুরনো এই প্রজাতিগুলো ফের মাথাচাড়া দিয়েছে।
সর্দি-কাশির অ্যাডেনোভাইরাস (Viral Fever), রাইনোভাইরাস করোনার চেয়েও বেশি ছোঁয়াচে হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেই সঙ্গে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস তো রয়েছেই। রেসপিরেটারি সিনসিটিয়াল ভাইরাসের (RSV) কারণে জ্বর, গলা ব্যথা হচ্ছে।

ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের অনেকগুলো ধরণ আছে—টাইপ এ, টাইপ বি, এইচ১এন১ (নন-সোয়াইন ফ্লু)। শহরে এখন এই এইচ১এন১ ভাইরাসের সংক্রমণ বেশি হচ্ছে। গা গরম, ধুম জ্বর, হাত-পায়ে ব্যথা, দুর্বলতা, অনেক সময় শ্বাসকষ্টও ভোগাচ্ছে।
এমনকী, বাচ্চাদের মধ্যেও রেসপিরেটারি ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *