আজ খবর এক্সক্লুসিভ:
Arabul Islam ভাঙড়ের হাতিশালায় তৃণমূল-আইএসএফ (TMC-ISF Clash) গন্ডগোলের ঘটনায় একের পর এক আইএসএফ কর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাদ যাননি এলাকার বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী ও। চলতি মাসের ১৫ তারিখ এই মামলার ফের শুনানি। আপাতত জেলবন্দি বিধায়ক সহ আইএসএফের ১৮ কর্মী।

এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তুমুল বিতর্ক চলতে চলতেই মোট ১০ জন তৃণমূল কর্মীকে ও গ্রেপ্তার (Arrest) করে পুলিশ। রবিবার স্থানীয় এক তৃণমূল নেতাকে গ্রেপ্তারের পর থেকেই শাসকদলের আরাবুল শিবিরে প্রবল অসন্তোষ। Arabul Islam
এলাকায় অসুস্থ জুলফিকার মোল্লা ছাড়া আর কোনও তৃণমূল নেতাকে দেখা যাচ্ছে না।
তবে থমথমে ভাঙড়ে ঘুরেফিরে একটাই প্রশ্ন। দাপুটে তৃণমূল নেতা, প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলাম (Arabul Islam) কোথায়?

ভাঙড়ের (Bhangar) সিক্স লেন রাস্তার পূর্ব প্রান্তে জুলফিকার মোল্লার দলীয় কার্যালয়।
সেই অফিসের ঠিক উল্টোদিকে আরাবুল ইসলাম ঘনিষ্ঠ ভাঙড়-২ ব্লকের আইএনটিটিইউসি (INTTUC) নেতা শামিমউদ্দিনের কার্যালয়। শামিমের ফোন সুইচড অফ। শামিমের অফিস থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে যুব নেতা রশিদ মোল্লার কার্যালয়। সেটিও তালাবন্ধ। সাপুরজি মোড়ের কাছে ভাঙড়ের আর এক নেতা সাবির শেখের দলীয় কার্যালয়ও বন্ধ। সাবিরের ফোনও সুইচড অফ।
তবে জল্পনা বাড়িয়েছে, তৃণমূলের ‘তাজা নেতা’ আরাবুল ইসলামের মোবাইল টানা প্রায় ৪৮ ঘন্টা আরাবুল ইসলামের নম্বরে ফোন করলেই শোনা যাচ্ছিল, “পরিষেবা সীমার বাইরে”।

এমনিতেই ভাঙড়ে শাসকদলের আড়াআড়ি দুই শিবির। একদিকে প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলাম আর অন্যদিকে ২১এর ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী হওয়া চিকিৎসক রেজাউল করিম।
তবে খাতায় কলমে এখন ও পর্যন্ত পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া তৃণমূল কর্মীদের সবাই আরাবুল ঘনিষ্ঠ।
এর মধ্যে প্রায় ২দিন আরাবুলকে এলাকায় দেখতে না পাওয়া, ফোনে না পাওয়া জল্পনা বাড়ি আছে। এমনকী সোমবার বিকেলের পর থেকে
রটে যায়, লুকিয়ে বাংলাদেশে (Bangladesh) চলে গিয়েছেন আরাবুল।
অবশেষে এদিন সকালে ফোনে আরাবুলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে aajkhobor.com
আরাবুল বলেন, ” সবাই মিথ্যা বলছে। এইতো আমি বিডিও (BDO) অফিসে এসেছি। আসুন, দেখে যান। ভাঙড় বিজয়গঞ্জ বাজারে বিডিও অফিসে আমি বসে আছি।”

রাজনৈতিক ঐতিহ্য মেনেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগণার এই এলাকা। যদিও আইএসএফের পাশাপাশি তৃণমূল কর্মীদের ও গ্রেপ্তার করায় পুলিশের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিচ্ছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *