আজ খবর ডেস্ক:
বকেয়া ডিএ (DA) প্রদান, স্বচ্ছতার সঙ্গে শূন্যপদে নিয়োগ, অস্থায়ী কর্মীদের নিয়মিতকরণ সহ একাধিক দাবিতে শুক্রবার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে রাজ্য সরকারের কর্মচারী সংগঠন রাজ্য কো অর্ডিনেশন কমিটি (Co-ordination Committee)। কার্যত নবান্নোর কড়া হুঁশিয়ারি উড়িয়েই রাজ্যজুড়ে কর্মবিরতি চলছে। ধর্মঘটের প্রভাবে জেলায় জেলায়। একাধিক সরকারি দপ্তর কর্মী শূন্য। ফাঁকা চেয়ার টেবিল। অন্যদিকে, ডিএ’র দাবিকে সমর্থন জানিয়েও কর্মবিরতি পালন থেকে দূরে থাকলেন কর্মচারীদের একাংশ।

মহার্ঘভাতার দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের যৌথ মঞ্চ এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল। জেলা থেকে কলকাতা– সরকারি দপ্তর, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক ধর্মঘটের ছবি চোখে পড়েছে।
বিকাশ ভবন, খাদ্য ভবন, রাইটার্স বিল্ডিংস, পূর্ত ভবন, বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকের দপ্তর, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (Calcutta University), যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, সর্বত্র দেখা গেল আলো জ্বলছে, পাখা চলছে, কর্মী নেই।
যদিও পাল্টা আইএনটিটিইউসি’র (INTTUC) তরফে তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন দাবি করেছেন, নিরানব্বই শতাংশ রাজ্য সরকারি কর্মীরা এদিন কাজে যোগ দিয়েছেন।


মালদা, দুই ২৪ পরগণা, নদিয়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ সহ একাধিক জেলায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ধর্মঘটের প্রভাব পড়েনি বলেই দাবি শাসকদলের।

তৃণমূল প্রভাবিত সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন এই ধর্মঘটের বিরোধিতা করেছিল। ধর্মঘটীদের দাবি, তারা ভয় দেখানোরও চেষ্টা করেছিল, কিন্তু পারেনি। কোঅর্ডিনেশন কমিটির নেতা সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, সরকার আজকে বুঝতে পারল ভয় ভেঙে গিয়েছে। এবার সরকারের ভয় পাওয়ার সময় এসেছে।

সরকারি অফিসের বাইরে ধর্মঘটীদের পিকেটিং চলছে। বিকাশ ভবনের মূল গেটে পিকেটিংয়ে থাকা আন্দোলনকারীরা বলেন, দপ্তরে যাঁরা রয়েছেন তাঁদের বেশিরভাগই কনট্র্যাক্টচুয়াল কর্মী। স্থায়ী কর্মী নন। বিভিন্ন এদিন অবসরপ্রাপ্তদেরও জমায়েত চোখে পড়ার মত ছিল।
এর আগে গত ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন যৌথ মঞ্চ।

এরপর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গ কো-অর্ডিনেশন কমিটি, ১০ই ফেব্রুয়ারি বকেয়া ডিএ সহ একাধিক ইস্যুতে ধর্মঘটের ডাক দেয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *