আজ খবর ডেস্ক:
Kolkata Heritage তিনি বাংলার অন্যতম দাপুটে মুখ্যমন্ত্রী (Bengal Chief Minister) ছিলেন। বলা হয়, এক সময় তাঁর নামে কার্যত বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খেত। রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গেও যথেষ্ট ভাল সম্পর্ক ছিল তাঁর। Kolkata Heritage
রাজ্যের সেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থশংকর রায়ের (Siddhartha Shankar Roy) বাড়িকে তাই ‘হেরিটেজ’ (Heritage) হিসেবে সংরক্ষণ করতে আগ্রহী কলকাতা পুরসভা (KMC)।

কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ সন্দীপ রঞ্জন বক্সী জানান, যে কোনও মূল্যে ভবনটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব রক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই বাড়িটি হেরিটেজ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার উপযুক্ত।
যদিও কলকাতা পুরসভার এই সিদ্ধান্তের পেছনে শাসক দলের রাজনীতি দেখছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। বস্তুত সিদ্ধার্থ শংকর রায়কে ঘিরে এখনও কংগ্রেস সমর্থকদের মধ্যে বিশেষ আবেগ কাজ করে। সম্প্রতি কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে যে তীব্র রাজনৈতিক লড়াই শুরু হয়েছে, তাকে কিঞ্চিৎ প্রশমিত করার জন্যই এই চেষ্টা কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

বাড়িটি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন। বর্তমানে বাড়িটিকে হোমস্টে (Homestay) হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়। ফলে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরাধিকারীরা পুরসভার এই সিদ্ধান্ত মানবেন কি? প্রশ্ন রয়েছে পুরসভার অন্দরেই।
সিদ্ধার্থশংকর রায়ের জন্ম ১৯২০ সালে। তার ২০ বছর আগে অর্থাৎ ১৯০০ সালে এই বাড়িটি নির্মাণ করেছিলেন তাঁর বাবা, প্রখ্যাত ব্যারিস্টার সুধীর কুমার রায়। এই বাড়িতে রয়েছে একটি অফিস এবং লাইব্রেরি।

মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi) থেকে শুরু করে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী (Indira Gandhi), পন্ডিত রবিশংকর এই বাড়িতে এসেছেন। দোতলা এই বাড়িটি লাল রঙের হওয়ায় দক্ষিণ কলকাতায় অনেকেই একে ‘লালবাড়ি’ ডাকেন।

গত সপ্তাহে পুরসভার হেরিটেজ সংরক্ষণ বিভাগের আধিকারিকরা বাড়িটি পরিদর্শন করেন। হাজরা রোডে ১৮ কাঠা জমির ওপর রয়েছে এই বাড়িটি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *