আজ খবর ডেস্ক:
বাঙালির কাছে দোল মানেই যেন শান্তিনিকেতন (Santiniketan)। তবে বিশ্বভারতীতে (Viswa Bharati University) এবার বসন্ত উৎসব (Basanta Utsab) হয়নি।
এদিকে চড়া রোদ গা পুড়িয়ে দিলেও ক্যালেন্ডারের পাতা আর সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট মনটা উড়ু উড়ু করে দিচ্ছে। এবার দোলে ঘরের কীআছেই হয়ে যাক ছোট্ট ট্রিপ (Dol Destination)।

১) বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসে দোল খেলার না হলেও শান্তিনিকেতনের বিভিন্ন রিসর্টে আয়োজন করা হয়েছে নানান অনুষ্ঠানের। আবির খেলা, গল্প-আড্ডা সই আছে সঙ্গে পেট পুজোর দেদার আয়োজন। শান্তিনিকেতনের বিভিন্ন জায়গায় রং খেলা হয়। কোপাই নদীর ধার, সোনাঝুরির জঙ্গলেও আবির খেলায় মেতে ওঠেন পর্যটকরা।

২) লাল পাহাড়ির দেশ পুরুলিয়ার (Purulia) দোল সত্যিই ব্যতিক্রমী। বসন্ত উৎসব চলে তিন দিন ধরে। পরব শুরু হয় দোলের ঠিক আগের দিন, চলে হোলি পর্যন্ত। তিনদিন ধরে রঙের খেলা ছাড়াও লোকশিল্প প্রদর্শনী, নাচ-গান সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আদিবাসীদের নানা আচার, বিশেষ করে ছৌ, ঝুমুর, দরবারির সাক্ষী হতে চাইলে এবারের দোল কাটুক পুরুলিয়ায়। পলাশ বনের ভিতর, কিংবা অযোধ্যা পাহাড়ের কোলে রং খেলার অনুভূতি আলাদা। রং ধুতে পারেন ঝরনার জলে।

৩) মায়াপুরের (Mayapur) রঙের দোল আবার আন্তর্জাতিক। সারা বিশ্ব থেকে বহু পর্যটক দোল পূর্ণিমার দিন এখানে হাজির হন। প্রধানত ইসকনের (ISKON) উদ্যোগে হয় রঙের পরব। দেব-দ্বিজে ভক্তি থাকলে তো কথাই নেই! মায়াপুরের রঙের মায়া কাটানো অসম্ভব। দুই তিনটে দিন সেখানে থেকে আসুন। সন্ধেয় ইসকনের মন্দিরে আরতি দেখে সময় কাটান। আনন্দ এবং প্রশান্তি মনকে ঘিরে থাকবে।

৪) পলাশ বনে রং খেলা তো সবাই করে। শাল বনে কোনোদিন রং খেলে দেখেছেন? সোজা চলে যান ঝাড়গ্রামে। শাল গাছের জঙ্গল ভর্তি। পর্যটকরা সেখানে মনের সুখে রং খেলেন। রাজবাড়ি, ঝরনা, জলাশয় ঘুরে বেড়াতে পারেন। ঘুরে আসতে পারেন আদিবাসী পাড়া থেকে।

৫) দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে প্রতিবারই সেজে ওঠে পূর্ব মেদিনপুরের মহিষাদল রাজবাড়ি (Mahishadal Raj Bari)। প্রতিবছর রাজবাড়ির নিজস্ব দোল উৎসব হয়, বহু পর্যটক আসেন এই উৎসবে যোগ দিতে। রাজ্যের নানা জায়গা থেকে শিল্পীরাও আসেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। মহিষাদল রাজবাড়িতে গেলে রাজবাড়ির মিউজিয়াম, নাটমন্দির, গোপালজিউ মন্দির, নাটশালের আশ্রম, গেঁয়োখালির ত্রিবেণী সঙ্গম দেখতেই হবে।

৬) বাঁকুড়া (Bankura) জেলার উত্তরে ও পূর্বে বর্ধমান, দক্ষিণে পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ-পূর্বে হুগলি আর পশ্চিমে পুরুলিয়া। দামোদর নদ বাঁকুড়া ও বর্ধমান জেলাদুটিকে পৃথক করেছে।
সারা বছর অসংখ্য পর্যটক এই জেলার শুশুনিয়া থেকে মুকুটমণিপুর , বিষ্ণুপুর থেকে গাংদুয়া-সহ নানা জায়গায় বেড়াতে আসেন। দোলের ছুটিতে সেই সব পরিযায়ী পর্যটকদের ‘উইকএন্ড ডেস্টিনেশন’ (Weekend Destination) হতেই পারে বাঁকুড়া শহরের এই পলাশতলা। যেদিকেই চোখ যায় সেদিকেই আগুনরঙা পলাশ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *