আজ খবর ডেস্ক:
ফের বিজেপি বিরোধী জোটের উদ্যোগ। আয়োজনে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) আম আদমি পার্টি (AAP)।
মূল ইস্যু, নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) ‘এজেন্সি পলিটিক্স’- এর (Agency politics) বিরোধিতা। দিল্লিতে বিরোধী দলগুলির (oppositions) সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করা হয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে।

তৃণমূল অন্তরে খবর, মমতার সঙ্গে কথা হয়েছে কেজরিওয়ালের। তৃণমূল নেত্রীই হতে চলেছেন প্রস্তাবিত সম্মেলনের মধ্যমণি। মার্চের শেষ বা এপ্রিলের শুরুতেই দিল্লিতে এই সম্মেলনের প্রস্তুতি চলছে।
বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলিকে এককাট্টা করার লক্ষ্যেই এই সম্মেলনের আয়োজন। কিন্তু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এই সম্মেলনে কি আদৌ থাকবে
বাম-কংগ্রেস?

“ভারত জোড়ো যাত্রা”র (Bharat Jodo Yatra) পরে দেশ জুড়ে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) একটা আলাদা ইমেজ তৈরি হয়েছে। ২৪র লোকসভা নির্বাচনে মোদি বিরোধী প্রধান মুখ হিসেবে সেটাকেই কাজে লাগাতে চায় কংগ্রেস। অন্য কোনও বিরোধীদলের নেতা বা নেত্রীকে মধ্যমণি করা হলে কংগ্রেস কতটা মানবে তা নিয়ে কৌতুহলী রাজনৈতিক মহল।
সম্মেলনের মূল আলোচ্য হতে চলেছে সিবিআই-ইডির (CBI/ED) তদন্ত অভিযান। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদির সরকার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সিগুলিকে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে ব্যবহার করছে।

চলতি মাসেই দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। প্রতিবাদে গত ৫ই মার্চ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দেশের আট বিরোধী নেতা-নেত্রী প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন। কিন্তু তারপরেই ফের কেন্দ্রীয় এজেন্সি হানা দেয়, লালুপত্নী রাবড়ীদেবী এবং বিহারের (Bihar) উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের বাড়িতে। আলাদা করে চিঠি লেখেন কেরলের সিপিএম (CPIM) মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এবং তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন।

এদিকে সূত্রের খবর, এই সম্মেলনে কংগ্রেস এবং বাম দলগুলিকে ডাকা হবে না। ৫ই মার্চ প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতেও কংগ্রেসের কারও স্বাক্ষর ছিল না। কংগ্রেস, আপ নেতাকে গ্রেপ্তারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানানোর পাশাপাশি মনে করছে, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখা, বিরোধী নেতা-নেত্রীর সম্মেলনের আসল উদ্দেশ্য শতাব্দী প্রাচীন দলটিকে বাইরে রেখে তৃতীয় ফ্রন্ট তৈরি করা। এর পেছনে বিজেপির মদত আছে। ইতিমধ্যেই উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী দেওয়া নিয়ে বাম দলগুলিও মনে করে, এতে বিজেপির সুবিধা করে দেওয়া হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *