আজ খবর ডেস্ক:
থামছে না শিশু মৃত্যু। এদিকে হাওয়ায় ভাসছে নিত্য নতুন ভাইরাস। রবিবার রাত থেকে সোমবার ভোর অবধি বিসি রায় হাসপাতালে (BC Roy Hospital) ফের ৪ শিশুর মৃত্যু হয়েছে জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ার (Pneumonia) উপসর্গ নিয়ে। একই ছবি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, চিত্তরঞ্জন সেবা সদনেও। জেলার হাসপাতালগুলি থেকেও শিশু মৃত্যুর (Child Death) খবর আসছে।
রবিবার রাত ৮টা নাগাদ মৃত্যু হয়েছে বনগাঁর বাসিন্দা মারিয়া মণ্ডলের। পাঁচ মাসের শিশুটি ভুগছিল জ্বর ও শ্বাসকষ্টে। মৃত্যু হয়েছে বাদুড়িয়ার বাসিন্দা আরও এক শিশুর, একই রকম উপসর্গ ছিল।

অ্যাডেনোভাইরাস (Adenovirus) নামে সর্দি-কাশির এক ভাইরাস (Virus) মারাত্মক ছোঁয়াচে হয়ে উঠেছে বলে আগেই সতর্ক করেছিলেন চিকিৎসকরা। রোগীদের অনেকেরই নমুনায় এই ভাইরাস খুঁজে পাওয়া গেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু অ্যাডেনোভাইরাসই নয় আরও ৫ রকম ভাইরাস (Virus) ছড়িয়েছে পরিবেশে।
১) Adenovirus
২) Influenza A and B Viruses
৩) Meta-pneumo Virus
৪) Rhino Virus
৫) Non Covid Corona Virus
পরিণতি জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ার মতো অসুখ। এ বছর দেখা গেছে, করোনার (Corona Virus) কিছু নতুন প্রজাতি এবং সেই সঙ্গেই আরও কয়েকরকম রেসপিরেটারি ভাইরাস ছড়িয়েছে।  

সৌজন্য: টাইমস অফ ইন্ডিয়া

করোনার প্রথম দিকের কিছু প্রজাতি, সোয়াইন ফ্লু (H1N1), ইনফ্লুয়েঞ্জা সাবটাইপ A বা হংকং ফ্লু  (H3N2), সিজনাল ভিক্টোরিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জাB প্রজাতির ভাইরাস ছড়িয়েছে। রেসপিরেটারি সিনসিটিয়াল ভাইরাসও (RSV) সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।


ঋতু বদলের সময় সর্দিকাশি নতুন কিছু নয়। রাইনোভাইরাস এর জন্য দায়ী। এই ভাইরাস মূলত নাক, মুখ, চোখ দিয়ে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। ফলে নাক দিয়ে জল পড়া, নাক বন্ধ, কাশি, হাঁচি, মাথাব্যথা ও জ্বর জ্বর ভাব দেখা যায়। বাচ্চা ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হয় এই রোগে।

চিকিৎসকদের মতে, কারণ এই ধরণের রেসপিরেটারি ভাইরাস ও ইনফ্লুয়েঞ্জার সংক্রমণ হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কমে যায়। ফলে পরিবারে একজনের থেকে বাকিদের মধ্যে ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *