আজ খবর ডেস্ক:
সাংসদ পদ খারিজের পর প্রথমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)।
আর সেখানেই ফের হুঙ্কার দিলেন বিজেপির বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত গুজরাটের সুরাট জেলা আদালত ফৌজদারি মানহানি (criminal defamation) মামলায় রাহুলকে দু’বছরের সাজা দিয়েছে। এরপরেই রাহুলের সাংসদ পদ বাতিল হয়ে যায়। আপাতত অন্তর্বর্তী জামিনে রয়েছেন রাহুল, ৩০ দিনের মধ্যে উচ্চ আদালত থেকে নিজের পক্ষে রায় পেতে হবে। Rahul Gandhi
এবার সংবাদমাধ্যমের সামনে সুর চড়ালেন সোনিয়া (Sonia Gandhi) তনয়। জানিয়ে দিলেন, তাঁর নাম সাভারকর নয়, গান্ধীরা ভয় পায় না। তাই ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্ন নেই । যদিও
আদালতের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। জানান, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করবেন না।
মোদি পদবীধারীদের সম্পর্কে রাহুলের মন্তব্য নিয়ে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষণ প্রসঙ্গে বিজেপি-র তরফে সংসদে ক্ষমা চাওয়ার দাবি উঠেছিল। সেই প্রশ্নের জবাবে রাহুল বলেন, “আমার নাম সাভারকর নয়। আমি গান্ধী। আমি ক্ষমা চাইব না।”
LIVE: सत्य की राह पर, देश के लिए, मैं हर कीमत चुकाने को तैयार हूं | Special Press Briefing | AICC HQ https://t.co/fvu5m9ZYP4
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) March 25, 2023
এদিকে রাহুলের যাবতীয় অভিযোগের জবাব দিতে অদ্ভুত কৌশল নিল গেরুয়া শিবির। নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়া রবিশঙ্কর প্রসাদকে এগিয়ে দেওয়া হল রাহুলের সামনে। রাজনৈতিক মহলের মত, বিজেপি বোঝাতে চাইলো রাহুলের বক্তব্যকে খুব বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে না তারা।
রাহুলের অভিযোগ খারিজের পাশাপাশি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী, সদ্যপ্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদের বিরুদ্ধে সহানুভূতি কুড়োনোর কৌশল এবং অনগ্রসর সম্প্রদায়কে অপমানের অভিযোগ তুললেন।
বিহারের এই বিজেপি নেতার দাবি, উচ্চ আদালতে আবেদন করে রাহুল যদি সুরাট আদালতের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ আনতেন, তবে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হত না।
এদিন সাংসদ পদ বাতিল প্রসঙ্গে রাহুলের বক্তব্য, “আমার সাংসদ পদ খারিজ করা হয়েছে কারণ আমার ভাষণে ভয় পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওঁর চোখে ভয় দেখেছি আমি।”