আজ খবর ডেস্ক:
Sagardighi by election উলতপুরাণ! ২২৯৮০ ভোটে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে (Sagardighi By Election) জিতলেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী।
২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছিল। বাম-কংগ্রেস জোট (Left-Congress Alliance) প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস এবার রাজ্য বিধানসভায়৷

রীতিমত উৎফুল্ল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী (Congress MP Adhir Ranjan Chowdhury) ৷ বৃহস্পতিবার ফল ঘোষণার অব্যবহিত পরেই অধীর জানিয়ে দিলেন, মমতা বন্দ্যোপধ্যায় (Mamata Banerjee) ও তৃণমূল কংগ্রেসকে (Trinamool Congress) যে পরাজিত করা যায়, তা সারা বাংলাকে দেখিয়ে দিল সাগরদিঘি ৷
নিছক খাতায়-কলমে নয়, মাঠে নেমে ঘাম ঝরিয়ে, বুথে বুথে মজবুত জোটের ছবি দেখিয়ে এই জয়। দাবি বাম-কংগ্রেস শিবিরের। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ধন্যবাদ জানালেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমকে (Md.Salim)। অধীর বলেন, ‘সেলিম ভাইকে ধন্যবাদ জানাই। সাগরদিঘিতে কংগ্রেস ও বাম কর্মীরা একসঙ্গে লড়াই করেছেন। সেলিমভাই যে কথা দিয়েছিলেন তা রেখেছেন।’

মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির মিটিং করে সাগরদিঘির কংগ্রেস প্রার্থীর সমর্থনে চলে গিয়েছিলেন সেলিম। মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের মত যুবনেত্রীকেও একাধিক সভা করতে পাঠিয়েছিল আলিমুদ্দিন। আশাপাশের এলাকার আরএসপি কর্মীরাও পালা করে সাগরদিঘির প্রচারে যোগ দিয়েছিলেন।

২০১১তে সারা বাংলায় ঘাসফুল ফুটলেও মুর্শিদাবাদে সেভাবে সমর্থন পায়নি তৃণমূল। ব্যতিক্রম ছিল সাগরদিঘি৷ ওই কেন্দ্র থেকে জিতে মন্ত্রী হয়েছিলেন সুব্রত সাহা৷ বায়রন বিশ্বাস অতীতে তৃণমূলে থাকলেও পরে কংগ্রেসে যোগ দেন। পেশায় ব্যবসায়ী। রয়েছে চা বাগান এবং হাসপাতাল।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, বাম-কংগ্রেস জোটের ক্ষেত্রে বহু জায়গায় এতদিন ছুৎমার্গ দেখা যেত। সিপিএমের প্রার্থী হলে কংগ্রেসের ভোট পড়ত না। কংগ্রেসের প্রার্থী হলে সিপিএমের অনেক তাত্ত্বিক নেতা সেদিকে হাত বাড়াননি। কিন্তু সাগরদিঘি কার্যত সেসবে জল ঢেলে দিল।
আরও একটি কারণে সাগরদিঘির ফলাফল গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

মূলত সংখ্যালঘু অংশের মানুষের বসবাস এই বিধানসভা এলাকায়। মুসলিম ও মহিলা ভোটকে এতদিন পর্যন্ত বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম পুঁজি হিসাবেই দেখত রাজনৈতিক মহল। পঞ্চায়েত ভোটের আগে কি উল্টে গেল সেই সমীকরণ?

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *