আজ খবর ডেস্ক:

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) জড়িত থাকার অভিযোগে অবশেষে বহিষ্কার করা হলো কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শুধু নিয়োগ নয়, চাকরিতে বদলি করতেও তোলা হয়েছে প্রচুর টাকা। অভিযোগ ইডির (Enforcement Directorate)। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে হুগলির দুই নেতার বহিষ্কারের কথা জানালেন শশী পাঁজা।


সাংবাদিক সম্মেলনে শশী পাঁজা বলেন, “কোনও দুর্নীতির সঙ্গে আপোস করবে না দল। আমাদের নির্বাচিত পদাধিকারী বা নির্বাচিত প্রতিনিধি বা তাঁর আত্মীয় যদি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছি। তা তিনি মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় হোক বা যুব নেতা কুন্তল ঘোষ বা কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্যায় হোক।”

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে একদিকে নিয়োগ দুর্নীতি আর অন্যদিকে একের পর এক নেতার নাম তাতে জড়িয়ে যাওয়া। অস্বস্তি বাড়ছিল রাজ্যের শাসকদলের। ফলে কুন্তল ও শান্তনুর গ্রেপ্তার হওয়ার মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া ব্যতীত অন্য উপায় ছিল না তৃণমূল নেতৃত্বের। দাবি রাজনৈতিক মহলের একাংশের।


এদিকে এদিন দ্বিতীয় বার ইডির মুখোমুখি হয়েছিলেন অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত (Bonny Sengupta)। বেলা বারোটায় সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকেন তিনি। ২টো ৩০ মিনিট নাগাদ বেরিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আমার কাছে যে তথ্য চাওয়া হয়েছিল, আমার যা জমা দেওয়ার ছিল সব জমা দিয়েছি। আশা করি আমাকে আর আসতে হবে না। তবে কী কী তথ্য জমা দিয়েছি সেটা বলা যাবে না। এবার যা বলার ইডি বলবে”। তবে ইডিকে টাকা ফেরতের প্রসঙ্গে বনি বলেন, “আমি টাকা ফেরত দেব না। ওসব আমার টাকা। ওসব অন্য কারও না”।

বনি সেনগুপ্ত

ইডির গোয়েন্দাদের কাছে বনির দাবি ছিল, কুন্তলের সংস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন মঞ্চে হাজিরার বিনিময়ে টাকা নিয়েছেন তিনি। তবে সেই চুক্তির কোনও নথি দেখাতে পারেননি অভিনেতা। এদিকে বনির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের কথা স্বীকার করেন কুন্তল ঘোষও।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *