আজ খবর ডেস্ক:
Jitendra Tiwari শনিবার নয়ডা থেকে বিজেপি নেতা তথা আসানসোল পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে (Jitendra Tiwari) গ্রেপ্তার করেছিল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ (STF)। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ এবং আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে নয়ডার যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আসানসোল আদালত। জামিনের আবেদন করেননি জিতেন্দ্র। Jitendra Tiwari
সেই মামলায় বড় স্বস্তি পেলেন তিনি। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) তাঁর গ্রেপ্তারিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। আইনজীবীদের মতে, শীর্ষ আদালতের এই রায়ের পরে জিতেন্দ্রকে হেফাজতে রাখতে পারবে না আসানসোল পুলিশ। তাঁকে মুক্তি দিতে হবে। প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় গেরুয়া শিবি বলেছে, নবান্নের গালে সুপ্রিম কোর্টের থাপ্পড়। রাজ্য পুলিশকে দিয়ে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করিয়েছিল সরকার। এদিন সুপ্রিম কোর্ট তার জবাব দিল।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জেকে মাহেশ্বরীর ডিভিশন বেঞ্চে জিতেন্দ্রর মামলার শুনানি হয়। আদালতের নির্দেশ, আগামী ২ সপ্তাহের জন্য জিতেন্দ্রর গ্রেপ্তারিতে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ থাকবে। ২ সপ্তাহ পর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ওই দিন মামলার সব পক্ষকে হলফনামা জমা দিতে বলেছে শীর্ষ আদালত।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ই ডিসেম্বর আসানসোলে একটি কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়। ঘটনায় জিতেনের স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারি-সহ মোট ৩ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন তাঁরাই। সোমবার এই মামলায় অভিযুক্ত আর এক কাউন্সিলর গৌরব গুপ্ত’র গ্রেপ্তারির ওপর ও আগাম স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত।
গত ২২শে ডিসেম্বর চৈতালির আবেদন মেনে তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয় হাই কোর্ট। ১০ ফেব্রুয়ারি পাল্টা একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা চৈতালির বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
এরপর হাই কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন জিতেন্দ্র এবং চৈতালি। কিন্তু বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ সেই আবেদন নাকচ করায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন এই দম্পতি। সেই শুনানির আগেই জিতেন্দ্রকে গ্রেপ্তার করে রাজ্য পুলিশ।