ঔপনিবেশিক ছাপ কতটা প্রভাব ফেলে? সমাজের তারতম্য বুঝিয়ে নোবেল

আজ খবর ডেস্ক- ঔপনিবেশিকতার সরাসরি প্রভাব কি পড়তে পারে সমাজে? তা কোন মাত্রায় আপোষহীন? এই বিষয় খুঁটিনাটি বুঝিয়ে ঝুলিতে নোবেল ভরলেন তানজানিয়ার আব্দুল রজক গুরনা।

“প্যারাডাইস”, “ডার্ক ম্যাটারস” সহ মোট দশটি বই লিখেছেন ৭৩ বছর বয়সী এই লেখক। নোবেল পুরস্কার পেয়ে আপ্লুত লেখক জানান, তিনি অত্যন্ত খুশি। এ যেন এক অন্য পুরস্কার। এত বড় মাপের সব লেখকদের সঙ্গে যায়গা করে নিতে পেরে তিনি গর্বিত।

পাশপাশি এই জয় তাঁর জন্য যেন অবিশ্বাস্য। গুরনারের হাতে খড়ি, ‘ডেডিকেশন টু ট্রুথ’ বই দিয়ে। দুই এর দশকে তানজানিয়ার বুকে এক ছেলের বেড়ে ওঠা নিয়ে সেই রচনা। অত্যন্ত সাবলীল এবং সহজভাবে সেই গল্প বলার ছন্দকে প্রশংসা করেছে নোবেল কমিটি। তাঁর উপন্যাসগুলি গতানুগতিক বিবরণ থেকে অনুপ্রাণিত। কিন্তু বিশ্বের অন্যান্য অংশের কাছে অপরিচিত। এই লেখা যেন বৈচিত্রময় পূর্ব আফ্রিকার দিকে সবাইকে ফিরে তাকাতে বাধ্য করে।

১৯৬০ সালে ইংল্যান্ডে রিফিউজি হিসেবে আসেন
গুরনার। তিনি অবসরের আগে ক্যান্টারবেরি ইউনিভার্সিটি অফ কেন্টের ইংরেজি এবং ঔপনিবেশিক পরবর্তী কালের ওপর সাহিত্যের অধ্যাপক ছিলেন। ১৯৮৬ সালে ওলে সোয়েঙ্কার পর গুরনার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান লেখক যিনি এই পুরস্কার জিতেছেন। তিনি বলেছিলেন যে তাঁর পুরষ্কারের অর্থ শরণার্থী সংকট এবং ঔপনিবেশবাদের মত বিষয়গুলি, যা তিনি অনুভব করেছেন, সেগুলির কাজে “আলোচিত” হবেন।

তাঁকে ২০১৬ সালে একবার তাঁর বিষKiয়ের উপর জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানিয়েছিলেন, কোনও বিশেষ বিষয়ের উপর তিনি লেখক হিসেবে নিজেকে পরিচিত করতে চান না। বরং । শুধু একজন লেখক হিসেবেই সবার মাঝখানে থাকতে চান।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *