আজ খবর ডেস্ক- রাজ্যের স্কুল, কলেজ খোলার দাবি নিয়ে শিক্ষা সচিবের সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। সেই মত তিনি যে শিক্ষা সচিবের সাক্ষাৎ প্রার্থী, তা জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
সোমবার সকালে শিক্ষা দপ্তরের তরফে বিরোধী দলনেতাকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হল, স্কুল খোলার বিষয়টি বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন। তাই এ বিষয়ে আলোচনা সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ তারিখে শুভেন্দু অধিকারী শিক্ষা দপ্তরের সচিবের সঙ্গে দেখা করতে বিকাশ ভবনে গিয়েছিলেন। বিজেপি নেতার অ্যন্তরীণভাবে যোগ, পুলিশ আটকে দেয় তাঁকে। ফলে দেখা না করেই ফিরে আসতে হয়েছিল শুভেন্দু কে।
সেখানে বিধাননগর পুলিশের সঙ্গে তাঁর ধ্বস্তাধস্তির ছবি ইতিমধ্যেই সংবাদ মাধ্যমে দেখা গিয়েছে। রাজ্যে গণতন্ত্র নেই, এই অভিযোগে রাজ্যপালের সঙ্গে ও দেখা করে নালিশ ঠোকেন তিনি।
আজ অর্থাৎ সোমবার শিক্ষা সচিবের সঙ্গে বিরোধী দলনেতার সাক্ষাৎ কেন সম্ভব নয়, তা লিখিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হল। শিক্ষা দপ্তরের এহেন মনোভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলনেতা।
রাজ্যের স্কুল, কলেজ খোলার বিষয়টি এখন আদালতে বিচারাধীন। তাই এ বিষয়ে আলোচনা সম্ভব নয়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে চিঠি দিয়ে এমনটাই জানিয়ে দিল রাজ্য শিক্ষা দপ্তর। প্রসঙ্গত, করোনা কিঞ্চিৎ কমায় দোকান, বাজার, জিম, রেস্তোরাঁয় ছাড় দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। অথচ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, চলছে অনলাইন ক্লাস।
এই নিয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। চিকিৎসকদের তরফে ধাপে ধাপে স্কুল খোলার আর্জি ও জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে।
এই বিষয়ে আলোচনার জন্য গত ২৭শে জানুয়ারি শিক্ষা দপ্তরের সচিব মণীশ জৈনকে বিরোধী দলনেতার অফিস থেকে চিঠি দিয়ে ২৮শে জানুয়ারি তাঁর সাক্ষাতের সময় চাওয়া হয়। ২৮ জানুয়ারি চিঠির জবাব দিয়ে শিক্ষা দফতর বিরোধী দলনেতার অফিসকে বলে, কী বিষয়ে তিনি কথা বলতে চান, তা নির্দিষ্ট করে জানানো হোক। পাল্টা চিঠি দিয়ে শুভেন্দুর দপ্তর জানায়, রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। সেই বিষয়ে আলোচনা করতেই সচিবের কাছে সময় চাইছেন বিরোধী দলনেতা( leader of the opposition)।
সঙ্গে তিনি আরও জানান, তাঁর সঙ্গে বিরোধী দলের আরও ৩ বিধায়ক আলোচনায় অংশ নেবেন। সোমবার তারই জবাবে শিক্ষা দফতর জানিয়ে দিল, আদালতে বিচারাধীন বিষয়ে আলোচনা সম্ভব নয়।
এদিকে আজ সকাল থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে স্কুল, কলেজ খোলার দাবিতে রাজ্য জুড়ে আন্দোলন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। যেখানে পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জ সহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। এই প্রতিবেদনটি লেখার সময় গোটা বিষয়টি নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।