আজ খবর ডেস্ক– বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বলেছে যে কার্ডিওভাসকুলার রোগ (CVD) বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর প্রধান কারণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু, আরও অনুমান করেছে যে এই রোগটি প্রতি বছর প্রায় ১৭.৯ মিলিয়ন জীবন কেড়ে নেয়। বর্তমান দ্রুত-গতির শহুরে জীবনযাত্রার দিকে তাকালে, এই তথ্যটির কারণ আনুমান করা যায়।
আজকের “নিউ নর্মাল” জীবনযাত্রা, যা সকলকে ঘরে বসিয়ে দিয়েছে, তা হল হৃদরোগের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার পিছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। হৃৎপিণ্ড মানবদেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির মধ্যে একটি এবং তাই এটি সঠিকভাবে কাজ করার জন্য অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন। আধুনিক বিজ্ঞান হৃদরোগের নিরাময়ের জন্য অস্ত্রোপচারের চিকিৎসার পরামর্শ দেয়, কিন্তু, আমাদের প্রাচীন ভারতীয় ঐতিহ্য, আয়ুর্বেদ, রোগের গভীরে মূল কারণকে লক্ষ্য করে। এই দাবিটি কেবল প্রাচীন নীতির উপর ভিত্তি করে নয়, অনেক গবেষকও প্রমাণ করেছেন যে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার সাহায্যে হার্টের সমস্যাগুলি দূর করা যেতে পারে।
তাই এখানে কিছু আয়ুর্বেদীয় প্রতিকার রয়েছে যা আপনার হৃদয়কে দীর্ঘমেয়াদে ফিট থাকতে সাহায্য করবে:
১) অশ্বগন্ধা
এই ভেষজ সঠিকভাবে খেলে দারুণ উপকার হয়। এটি একটি অ্যাডাপটোজেনিক ভেষজ, যা শুধুমাত্র আপনার রক্তচাপ কমায় না, বরং আপনার রক্তে শর্করার মাত্রাও কমায়। এটি মন এবং শরীর থেকে উত্তেজনা দূর করতে সাহায্য করে এবং হৃৎপিণ্ডের পেশীকে শক্তি প্রদান করে।
২) হলুদ
এটির কোনও পরিচয়ের প্রয়োজন নেই কারণ প্রতিটি ভারতীয় পরিবার তাদের খাবার তৈরি করার সময় প্রতিদিন হলুদ ব্যবহার করে এবং প্রত্যেকেই এর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ সম্পর্কে খুব ভালভাবে সচেতন। কিন্তু, অনেকেই জানেন না যে হলুদে উপস্থিত কারকিউমিন আপনার রক্তনালীগুলির আস্তরণের কার্যকারিতা উন্নত করে, যা অবশেষে আপনার রক্তচাপ, রক্ত জমাট বাঁধা এবং হৃদরোগের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য কারণগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে।
৩) তাজা ফল এবং সবজি
বিশেষজ্ঞরা সবসময় যতটা সম্ভব তাজা ফল এবং শাকসবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কারণ এগুলি দ্রুত গতিতে ধমনী থেকে টক্সিন এবং ব্লকেজগুলিকে দ্রবীভূত করতে সাহায্য করে।
৪) ত্রিফলা
ত্রিফলা হল আমলকি, বয়ড়া এবং হরিতকি নামের তিনটি ভেষজের মিশ্রণ। এগুলো রক্তের চর্বির মাত্রা ও উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং হার্টকে সুস্থ রাখতে খুবই সহায়ক।
৫) চবনপ্রাশ
চবনপ্রাশ হল একটি ভেষজ জ্যাম যাতে বিভিন্ন ভেষজ যেমন চিনি, মধু, ঘি, আমলকি, জাম, তিলের তেল ইত্যাদি ভেষজ এবং অনেক মশলা রয়েছে। এটি হার্টের পেশী শক্তিশালী করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অত্যন্ত সহায়ক।