আজ খবর ডেস্ক- পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগে সোমবার রাজ্যজুড়ে বাংলা বনধ ডাকল বিজেপি। সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬ টা পর্যন্ত চলবে ১২ ঘন্টার বনধ। এদিন ভোটের সময়সীমা শেষ হতেই প্রথমে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে এবং তারপর রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে যায় বঙ্গ বিজেপির প্রতিনিধিদল। তারপরেই জানান হয় এই সিদ্ধান্ত।
এদিকে বিজেপির ডাকা রাজ্য জুড়ে বাংলা বনধ কে ঘিরে নবান্নে জরুরি প্রশাসনিক বৈঠক ডাকা হয়েছে রবিবার রাত সাড়ে আটটায়।
আবার এদিনই রাজভবন সূত্রে জানানো হল, আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার সকাল ১০ টার মধ্যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের প্রধানকে রাজভবনে জরুরী তলব করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি না আসলে সংবিধানের বিশেষ ধারা প্রয়োগ করার কথাও জানিয়েছেন রাজ্যপাল।

শুধু বনধ ডাকাই নয়, তা সফল করতে রাজ্যের সর্বত্র বিজেপি কর্মীরা পথে নামবেন বলেও গেরুয়া শিবিরের পক্ষে রবিবার জানানো হয়েছে।দিনের শেষে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরেও যায় বিজেপি প্রতিনিধি দল। সেই দলে ছিলেন রাজ্য নেতা শিশির বাজোরিয়া, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। চিঠি দিয়ে ১০৮ পুরসভার ভোটই বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিজেপি।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, রবিবার রাতেই বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে থাকা বিজেপি নেতৃত্ব নিজেদের মধ্যে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। এই বৈঠকের শেষে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য ঘিরে অবশ্য ফের রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছড়িয়েছে। শুভেন্দু পুরভোট নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এদিন বলেন, “লোকসভা ভোটে বদলা নেব। গুনে গুনে বদলা নেব”।
রাজনৈতিক মহল বলছে, ২৯১৮ পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধীরা কেউ মনোনয়ন পেশ করতেই পারেনি এই অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। ঠিক পরের বছর অর্থাৎ ২৯১৯ লোকসভা ভোটের ফলাফলে দেখা যায় রাজ্যের মোট ৪২ টি আসনের মধ্যে ১৮ টি আসন পেয়েছে বিজেপি।

এদিকে সকাল থেকেই রাজ্যজুড়ে ভোটের নামে প্রহসনের অভিযোগ তুলেছিল বামেরা। বিকেলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে যায় বাম প্রতিনিধিদল।
রাজ্য বামফ্রন্টের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সোমবার ১০৮ টি পুরসভা অঞ্চলে গণতন্ত্র বিরোধী দিবস পালন করা হবে। প্রত্যেকটি এলাকায় মহকুমা শাসকের দপ্তরের সামনে বাম নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ দেখাবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *