আজ খবর ডেস্ক- সকালে ঘুম থেকে উঠেই দপ দপ করে মাথা? দিনভর কাজের চাপের মধ্যেও মাথার যন্ত্রণায় পাগল পাগল লাগে? এমনকি দিনের শেষে বাড়ি ফিরেও পরিবার থেকে দূরে বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মত রাত কাটাতে ইচ্ছে করে?
সারাক্ষণ কপালে ঘষতে থাকেন বাজার চলতি বিভিন্ন বাম (balm)। দীর্ঘদিন ধরে মাথা ব্যথায় ভোগার থেকে অন্য নানান রকম অসুখ হতে পারে। তাই নিতান্ত অবজ্ঞা করবেন না এই মাথাব্যথাকে। জেনে নিন এর থেকে বাঁচার উপায়।

আসলে মাথাব্যথা এবং মাইগ্ৰেনের সমস্যা সম্পূর্ণ আলাদা দুটো বিষয়। তবে
বেশিরভাগ মানুষই এই দুয়ের পার্থক্য বোঝেন না।
কমবেশি সবাই-ই মাইগ্রেন সমস্যায় ভোগেন। দুটির মধ্যে একটি প্রধান পার্থক্য হল, মাথাব্যথা মাইগ্রেনের ব্যথার মতো ততটা বিরক্তিকর নয়। মাইগ্রেনের ক্ষেত্রে মাথার দুই পাশে তীব্র যন্ত্রণা অনুভূত হতে থাকে।

চিকিৎসকদের মত, বিভিন্ন খাবারের জন্য মাইগ্রেন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি হয়ে থাকে। বিশেষ করে গ্লুটেন( gluten) জাতীয় খাবার যেমন বার্লি, গম এবং ওটস এসবের মধ্যে গ্লুটেন থাকতেই পারে।
মাইগ্রেনের কিছু লক্ষণ রয়েছে যেমন বমি হওয়া, সবসময় গা গোলানো আর বমির ভাব, চোখের পেছনে বা কানের কাছে ব্যথা অনুভব করা, আলো বা শব্দে বিরক্ত হওয়া এবং সাময়িক দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পাওয়া।

ঘরোয়া কিছু উপায় আছে, যা মেনে চললে এই ব্যথা কমিয়ে আনা সম্ভব।

১) সবুজ শাক-সব্জি এমনিতেই আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কারণ এগুলো নানাভাবে আমাদের শরীরের উপকার করে থাকে। সেই সঙ্গে অনেক রকম পুষ্টি উপাদানের চাহিদা মেটায়। তাই প্রচুর সব্জি রাখুন আপনার রোজকার ডায়েটে। মাইগ্রেন কমানোর জন্য এই সবুজ শাক-সব্জি এবং নিয়মিত খাওয়া প্রয়োজন।

২) চকোলেট, বিশেষত ডার্ক চকোলেট(dark chocolate) আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ডার্ক চকোলেটের মধ্যে আছে ম্যাগনেসিয়াম। যেটি মাইগ্রেন কমাতে বেশ সাহায্য করে। সেইসঙ্গে কমায় মানসিক চাপও।

৩) মাশরুম(mushroom) খান রোজ। কারণ, সুস্বাদু এই সব্জিতে আছে প্রচুর রিবোফ্লাবিন(riboflavin) বা বি২। এই উপাদান আমাদের অন্ত্রের রোগ তো দূর করেই, সেই সঙ্গে কমায় মাইগ্ৰেনের সমস্যাও।
এছাড়াও তেল মশলা জাতীয় খাবার, চিজ বা ক্রিম যুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকলেও মাইগ্ৰেনের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
তখন শুধু মাথার যন্ত্রণাই নয়, শরীরও থাকবে ঝরঝরে আর ফিট।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *