আজ খবর ডেস্ক- করোনা মহামারীর জেরে দেশ তথা সারা বিশ্বের অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তবে, এর ফলে কিছু নতুন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আর্থিক বৈষম্য যেন আরও প্রকট হয়েছে। সম্পত্তি পরামর্শদাতা, নাইট ফ্র্যাঙ্কের এক সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে, ২০২০-র তুলনায় ২০২১-এ ভারতে প্রায় ২২৬ কোটি টাকার বেশী সম্পদশালী ধনকুবেরের সংখ্যা বেড়েছে। কোটিপতি জনসংখ্যার হিসাবে ভারত বিশ্বে তৃতীয়, আমেরিকা ও চিনের পরেই।

সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৬ সালের মধ্যে কলকাতার অতি-ধনী জনসংখ্যা ৪৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে৷ মঙ্গলবার প্রকাশিত এই সমীক্ষার রিপোর্টে নাইট ফ্রাঙ্ক আশা করছেন মহানগরের অতি-ধনী জনসংখ্যা ২০২৬ সালের মধ্যে ৪৩.২ শতাংশ বেড়ে ৩৬৮ হবে ।

নাইট ফ্রাঙ্ক বলেছে, কলকাতায় অতি-উচ্চবিত্তের সংখ্যা (প্রায় ২২৬ কোটি বা তার বেশি নেট সম্পদ) ২০১৬ সালে ১১৯ থেকে বেড়ে ২০২১ সালে ২৫৭ -এ দাঁড়িয়েছে ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে মুম্বাই ১৫৯৬ UHNWI, বা অতি-উচ্চ সম্পদের ব্যক্তির আবাসস্থল, এরপর হায়দ্রাবাদ (467 UHNWIs)।

২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী বিলিয়নেয়ার জনসংখ্যার মধ্যে ভারত তৃতীয় স্থানে রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৭৪৮ বিলিয়নেয়ারের সাথে এক নম্বরে, চীনের মূল ভূখন্ডে ৫৫৪ বিলিয়নেয়ার এবং ভারত ১৪৫ বিলিয়নেয়ার ।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রধান ভারতীয় শহরগুলির মধ্যে, বেঙ্গালুরুতে UHNWI-এর সংখ্যা সর্বাধিক বৃদ্ধি পেয়েছে ১৭.১ শতাংশ থেকে ৩৫২ , তারপরে দিল্লি (১২.৪ শতাংশ, ২১০) এবং মুম্বাই (৯ শতাংশ, ১৫৯৬) ৷

সংস্থার সিএমডি শিশির বৈজলের মতে, শেয়ার বাজার এবং ডিজিটালের ব্যবহারই সম্পদ বাড়ার প্রধান কারণ।

নাইট ফ্রাঙ্ক এ ব্যাপারে আরও বলেছেন এটি প্রথমবারের মতো বিশ্বের UHNWI জনসংখ্যার ‘পরবর্তী প্রজন্মের’ আকার পরীক্ষা করেছে এবং মূল্যায়ন করেছে যে সম্পত্তি বাজারের জন্যে এর অর্থ কী হতে পারে।

গত বছর সেই সকল ধনীদের প্রায় ৩০% প্রথম বা দ্বিতীয় বাড়ি কিনেছে, বাণিজ্যিক প্রকল্পে লগ্নি করেছে ২২%, দেশে-বিদেশে সম্পত্তি ক্রয় করেছে অনেকেই। তাদের সম্পদের ১১% চিত্রকলা, গয়না, বিলাসবহুল গাড়ি ইত্যাদিতে শখ মেটাতে খরচ বেড়েছে প্রায় ২৯%। পাশাপাশি, নতুন শখ, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লগ্নি হয়েছে প্রায় ১৮%।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *