আজ খবর ডেস্ক- ফের বিক্ষোভ এসএসসি (SSC) চাকরিপ্রার্থীদের। আর এই বিক্ষোভের জেরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কার্যত অবরুদ্ধ উত্তর কলকাতার কলেজস্ট্রিট সহ সংলগ্ন এলাকা।
একদিকে চাকরিপ্রার্থীদের জমায়েত, অন্যদিকে পুলিশের ব্যারিকেড। চাকরি প্রার্থীরা মিছিলের চেষ্টা করতেন পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠল। যা ঘিরে উত্তাল কলকাতার “বইপাড়া” চত্বর।
চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, দীর্ঘ ৬ বছর ধরে চাকরির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। একাধিকবার রাজ্য সরকারের তরফে প্রতিশ্রুতি এবং আশ্বাস মিললেও শেষ পর্যন্ত আর চাকরি মেলেনি। তাই বাধ্য হয়ে আরও একবার পথে নামতে হয়েছে তাঁদের।

পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার কলেজ স্ট্রিটের বিদ্যাসাগর উদ্যান থেকে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। বিক্ষোভকারীদের দাবি, দীর্ঘদিন কেটে গিয়েছে কিন্তু মেলেনি চাকরি। প্রসঙ্গত এঁরা প্রত্যেকেই এসএসসি উত্তীর্ণ। পরীক্ষায় পাশ করে গিয়েছেন ৬ বছর আগেই। তাঁরা বলছেন, ” যোগ্যতমের বঞ্চিত করেছে সরকার। দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ চাই”।
দুপুর ১২টা থেকেই কলেজ স্কোয়ার ( college square) চত্ত্বরে জমায়েত শুরু করেছেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের লক্ষ্য নবান্ন অভিযান। ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশবাহিনী।

চলতি বছরের শুরুর দিকেই কলকাতা প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ অবস্থানে সামিল হয়েছিলেন এসএসসি চাকরিপ্রার্থীরা। সেই সময়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের প্রবল ধস্তাধস্তি হয়। ১২ জন বিক্ষোভকারী গ্রেপ্তার হয়েছিলেন পুলিশের হাতে।
পরে, ধাপে ধাপে এসএসসির নিয়োগ নিয়ে রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ শুরু করেন চাকরি প্রার্থীরা। মূল অভিযোগ ছিল, চাকরির পরীক্ষায় পাশ করা এবং মেধা তালিকার নাম থাকার পরেও নিয়োগপত্র হাতে মেলেনি। ২০২০ তে প্রায় এক মাস ধরে চলতে থাকা প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আশ্বাস দিয়েছিলেন চাকরির। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, পরবর্তীকালে ওই আন্দোলনের নেতৃত্বে যারা ছিলেন তাঁদের চাকরি মিললেও আন্দোলনরত বাকিদের কোনও সুরাহা হয়নি।

এদিনের বিক্ষোভেও অভিযোগ উঠেছে পুলিশের লাঠি চালানোর। বিক্ষোভকারীদের দাবি, পুলিশের আক্রমনে আহত শতাধিক। ইতিমধ্যেই গ্রপ্তার করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৫৫ জন কে।
বিক্ষোভরত এক চাকরি প্রার্থীর অভিযোগ, “দীর্ঘ ৮ বছর ধরে রাজ্যের বুকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের কোনও নতুন নিয়োগ নেই, শিক্ষকের অভাবে স্কুল গুলো ধুঁকছে। বাড়ছে স্কুল ছুটের সংখ্যা । তাই ছাত্র ও শিক্ষকদের অধিকার ছিনিয়ে আনতে আজ কলেজ স্ট্রিট থেকে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছি আমরা”।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *