আজ খবর ডেস্ক- দূর্ঘটনাজনিত বা অস্বাভাবিক কারণে মৃত্যু হলে ময়নাতদন্ত বাধ্যতামূলক করার জন্য দীর্ঘ দিন ধরে গণদর্পণ দাবী জানিয়ে এসেছে। যদিও সাধারণ রোগের ক্ষেত্রে প্যাথলজিকাল পোস্টমর্টেম বাধ্যতামূলক নয়।
কিন্তু, সাধারণ রোগে মৃত্যু হলে, মৃতের নিকটজন চাইলে, প্যাথলজিকাল পোস্টমর্টেমের অনুমতি দেয় স্বাস্থ্যদপ্তর। এই নিয়ে প্রচার চালিয়েছে গণদর্পণ।
গত সোমবার রাতে মারা যান বালীগঞ্জ অঞ্চলের জামির লেনের বাসিন্দা দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি এলাকায় “জনদা” নামে পরিচিত। ওনার দেবব্রতবাবুর একমাত্র কন্যা, সুচেতনা ব্যানার্জীর অনুরোধে গণদর্পণের সাথে যোগাযোগ করেন পরিবারের ঘনিষ্ঠ, অমিতাভ সিনহা মহাশয় এবং প্যাথলজিকাল পোস্টমর্টেমের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান। সেইমত গণদর্পণ এর পক্ষ থেকে ব্যবস্থা করা হয় ।
মঙ্গলবার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ফরেনসিক ডিপার্টমেন্টের হাতে তুলে দেওয়া হয় দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের মরদেহ। ডিপার্টমেন্টের প্রধান, ডাঃ সোমনাথ দাসের তত্বাবধানে হবে ময়নাতদন্ত।
জানা গেছে, দেবব্রতবাবু ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টির সদস্য ছিলেন। এর সাথে তিনি ছিলেন নাটিপ্রেমী ও নাট্যশিল্পী। ৭৪ বছরের তার জীবনবসান হয়।
প্যাথলজিকাল পোস্টমর্টেমের ক্ষেত্রে আমাদের রাজ্যে এক নতুন নজির সৃষ্টি হল, যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পেরে খুশি ও গর্বিত বোধ করছেন গণদর্পণের সদস্যরা। তাঁদের মতে, আবার নতুন “মাইলস্টোন” ছুঁলো গণদর্পণ।