আজ খবর ডেস্ক- শেষ দুর্গাপুজো, তবে তার মধ্যেই পাওয়া যাবে বেশ কিছু ছুটি তাই আর কোনও দিকে না তাকিয়ে কলকাতার গরম ছেড়ে পাড়ি দেওয়া যায় শীতের দেশে। বাঙালি ভ্রমণপ্রিয় তাই বঙ্গের বেশ কিছু জায়গা রইল আপনার জন্যে। তাই ছুটিকে আরও রোমাঞ্চকর করে তোলার জন্য রইল আনন্দের রেসিপি।
কালিম্পং
ছুটির আমেজে অনেকেই দার্জিলিঙে গিয়েছেন তাই এই সময় দার্জিলিঙে বেশ ভিড় থাকতে পারে। তাই দার্জিলিংকে পাশে সরিয়ে চলুন কালিম্পং। খোলা দৃশ্য কাঞ্চনজঙ্ঘার অসাধারণ ভিউ অবশ্যই আপনার মনকে আরো তরতাজা করে তুলবে। পাশাপাশি ডেলো হিলের অসাধারণ ফুলের শোভা আপনাকে মুগ্ধ করে তুলবে।
মুকুটমণিপুর
পাহাড়ে না যেতে পারলে ক্ষতি কি ঘরের কাছেই রয়েছে মুকুটমণিপুর। ছোট ছোট পাহাড় এবং জঙ্গল ঘিরে রেখেছে জলাশয়। একদিন দুদিনের ছুটি কাটানোর জন্য সঠিক ঠিকানা। বাঁকুড়াতে ট্রেনথেকে নেমে গাড়ি ভাড়া করে বা বাসে করেই পৌঁছে যাওয়া যাবে মুকুটমণিপুর। পাশাপাশি একদিনের জন্য পিকনিক পড়ে আসা যেতে পারে এই সুন্দর জায়গায়।
লোলেগাঁও
পাহাড়ের কোলে লোলেগাঁও এক অসাধারণ জায়গা জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে পায়ে হেঁটে ঘুরে দেখতে পারেন জঙ্গলের দৃশ্য। গাছের ছায়ায় ঘেরা এই বনাঞ্চল অল্পমাত্রায় সূর্যের আলোকে প্রবেশ করতে দেয় এলাকায়। আলো-আঁধারের এই খেলা অসাধারনভাবে আপনার মনকে স্নিগ্ধ করে তুলবে।
উত্তরে
এই এলাকায় পৌঁছাতে গেলে আপনাকে বঙ্গের সীমানা পেরিয়ে পৌঁছতে হবে সিকিমে। পেলিং থেকে খুবই কাছে এই অসাধারণ জায়গা। এখানে গেলে মিস করলে চলবে না এশিয়ার দ্বিতীয় উঁচু ব্রিজ। শিংশোর ব্রিজ আপনাকে সাহায্য করবে আপনার দৃশ্যকে ডানা মেলতে।
বিষ্ণুপুর
বাঁকুড়া থেকে তিরিশ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বিষ্ণুপুর। অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ইতিহাসের রহস্য রোমাঞ্চ দিয়ে ঘেরা বিষ্ণুপুর হাতের নাগালেই। ইতিহাস এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি আরেকটি জিনিস মিলবে এই বেড়ানো স্পটে পোড়ামাটির মন্দির নানান পোড়ামাটির তৈরি মন্দির এবং স্থাপত্য চোখ ধাঁধিয়ে দেবে আপনার।
তাহলে আর দেরি কিসের একদিনের ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ুন চটজলদি। দশমীর শেষ হয়ে লক্ষ্মী পুজোর আগেই একদিন বা দু’দিনের জন্য আরামদায়ক সফর হতে পারে এই জায়গাগুলি। পাশাপাশি এই জায়গা গুলি খুব স্বল্প খরচে বেড়ানো যায় ফলে অনেক টাকা লাগবে বা পুজোর পরেই হাতখালি, এমনটা মনে করার অবকাশ নেই।