আজ খবর ডেস্ক- সম্প্রতি শেষ হয়েছে ফ্লিপকার্ট এর বিগ বিলিয়ন ডেজের সেল। প্রতিবছরই উৎসবের মরশুমে এমন সেল দিয়ে থাকে ফ্লিপকার্ট। তবে বিগবিলিয়ন ডেজে মোট কত বিক্রি হয়েছে তার সেল রিপোর্ট প্রকাশ করা হল কিছুদিন আগে। সেই রিপোর্ট দেখলে চোখ মাথায় উঠবে। জানেন কি বলা হয়েছে সেই রিপোর্টে?

প্রতি সেকেন্ডে ২ টি স্মার্টওয়াচ বিক্রি হয়েছে ফ্লিপকার্টে। শুধু তাই নয়, সেলে নাকি এত জুতা বিক্রি হয়েছে যে তার বাক্স জমা করে একটার উপর একটা সকালে ১০০টা মাউন্ট এভারেস্টের সমান উচ্চতা হয়ে যাবে।

অনলাইন রিটেল শপিং ওয়েবসাইট ফ্লিপকার্টে গত ৩ রা অক্টোবর থেকে ১০ ই অক্টোবর পর্যন্ত, টানা আট দিন ধরে বিগ বিলিয়ন ডেজ সেল চলেছে। যেখানে সমস্ত জিনিসের উপর বেশ ছাড় থাকায় ক্রেতারা রীতিমত হামলে পড়ে জিনিস পত্র কিনেছে। অন্তত ফ্লিপকার্টের তথ্য তাই বলছে। স্মার্টফোন এবং ইলেকট্রনিক সামগ্রীসহ অনেক জিনিসই ডিসকাউন্টে বিক্রি হয়েছে। সেল শেষ হওয়ার পর, ফ্লিপকার্ট বিক্রির পরিসংখ্যান বলছে গ্রাহকরা সেলে ডিসকাউন্ট থেকে মোট ১,১৫০ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছেন।

ফ্লিপকার্টের দাবি, মাত্র ৮ দিনে এত স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে যে তাদের পর পর রাখলে বুর্জ খলিফার দৈর্ঘ্যও ছাড়িয়ে যাবে। শুধু ফোনই নয়, স্মার্টওয়াচও বিক্রি হয়েছে প্রচুর। প্রতি সেকেন্ডে ২ টি করে স্মার্টওয়াচ বিক্রি করেছে ফ্লিপকার্ট। সেলে এত জুতা কেনা হয়েছে যে তাদের বাক্সগুলি একটার পর একটা রাখলে তা ১০০টি মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা ছাড়িয়ে যাবে।

ফোন ছাড়াও হোম অ্যাপ্লায়েন্সর উপরও ফ্লিপকার্ট দুর্দান্ত অফার দিয়েছিল। সে কারণে সেলে যে সংখ্যক সোফা বিক্রি হয়েছে তা মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতার সমান বলে দাবি করেছে ফ্লিপকার্ট কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি ওয়াংখেড়ে ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় স্টেডিয়াম। যেখানে একসাথে ৩৩,১০৮ জন দর্শক বসে খেলা দেখতে পারে। এছাড়াও, এত পরিমাণ ম্যাট্রেস বিক্রি হয়েছে যে তা দিয়ে ২৫ টি ফুটবল স্টেডিয়াম কভার করা সম্ভব।

ফ্লিপকার্ট সেলে, গ্রাহকরা প্রচুর খাদ্য সামগ্রীও কিনেছেন। ওয়েবসাইটের মতে, ২ ঘণ্টায় যে পরিমাণ চা বিক্রি হয়েছে তা থেকে ৫০ লক্ষ কাপ চা তৈরি করা যাবে। এছাড়া ২ ঘণ্টায় ১.২ লক্ষ চকোলেট বার বিক্রি হয়েছে। বলা হয়েছে, সেলে যে পরিমাণ রান্নার তেল বিক্রি হয়েছে তা দিয়ে ৯ লক্ষ প্লেট ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ভাজা যাবে। আটা এবং ডাল বিক্রির পরিমাণের মোট ওজন ১৫ টি নীল তিমি ওজনের চেয়েও বেশি।

এই নথি থেকে বোঝাই যাচ্ছে গ্রাহকদের কাছে ফ্লিপকার্টের জনপ্রিয়তা কত। এছাড়াও ফ্লিপকার্টের তরফ থেকে প্রতিবছর বিগ বিলিয়ন ডেজে ছাড় দেওয়া হয় হলে বছরের ওই সময়টার জন্য অপেক্ষা করে বহু অনলাইন শপিং পছন্দ করেন এমন ক্রেতারা। তার মধ্যে করোনা আবহে অনলাইন শপিংয়ের উপর ক্রেতাদের নির্ভরশীলতা বেড়েছে। তবে ফ্লিপকার্টের প্রকাশিত নথি একথা আরো একবার প্রমাণ করে দিল যে ভারতীয় অনলাইন রিটেলের বাজারে নতুন অনেক সংস্থা পা রাখলেও এখনও ফ্লিপকার্টকে টেক্কা দেওয়া কঠিন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *