আজ খবর ডেস্ক- ফের ঊর্ধ্বমুখী পেট্রল ডিজেলের দাম। গত বছরের নভেম্বর থেকে প্রথমবারের মতো পেট্রলের দাম লিটার প্রতি ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে এবং আট দিনের মধ্যে সপ্তম সংশোধনের পরে মঙ্গলবার তেলের দাম বেড়েছে।
গত আট দিনে পেট্রল এবং ডিজেলের দাম সাত বার বেড়েছে। বুধবার পেট্রলের দাম লিটার প্রতি ৮০ পয়সা এবং ডিজেলের দাম ৮০ পয়সা বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে প্রতি লিটারে মোট ৫.৬০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
দিল্লিতে, লিটার প্রতি পেট্রলের দাম ১০০.২১ টাকা থেকে বেড়ে ১০১.০১ টাকা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ৯১.৪৭ টাকা থেকে বেড়ে ৯২.২৭ টাকা হয়েছে। দিল্লিতে গত বছরের ৭ই জুলাই পেট্রলের প্রথম সেঞ্চুরি পার করেছিল। কেজরিওয়াল সরকার ভ্যাট ৩০% থেকে কমিয়ে ১৯.৪% করায় ৪ঠা ডিসেম্বরে দামটি ১০০ টাকার নীচে নেমে আসে ।
মুম্বইতে, পেট্রল ও ডিজেলের দাম যথাক্রমে ৮৪ পয়সা ও ৮৫ পয়সা বৃদ্ধি হয়েছে। বর্তমানে, মুম্বাইতে পেট্রলের দাম ১১৫.৮৮ প্রতি লিটার। অপরদিকে, প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ১০০.১০ টাকা।
কলকাতায়, পেট্রলের মূল্য লিটার প্রতি ১১০.৫২ টাকা এবং ডিজেলের মূল্য লিটার প্রতি ৯৫.৪২ টাকা।
চেন্নাইতে, পেট্রল এবং ডিজেলের সংশোধিত দাম হল যথাক্রমে ১০৬.৬৯ এবং ৯৬.৭৬ টাকা।
এবিষয়ে, কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সূর্যওয়ালা জানান, ‘ বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার পেট্রল এবং ডিজেলের উপর শুল্ক বাড়িয়ে ‘আট বছরে ২৬ লাখ কোটি টাকা আয় করেছে ‘।
বিরোধীদের অভিযোগ, ১০ মার্চ চার রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরই তেলের দাম বৃদ্ধি শুরু হয়। অবশ্য বিজেপি-র যুক্তি এই যে, রাজ্য সরকারগুলো নিজেদের কর যদি একটু কমায়, তাহলেই তেলের দাম কমবে।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন মঙ্গলবার জ্বালানি মূল্য সংশোধনে ১৩৭ দিনের অব্যাহতি সম্পর্কে বলেছেন, ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাঘাত এবং ফলস্বরূপ বিশ্বব্যাপী তেলের দাম বৃদ্ধি একটি “দুই সপ্তাহ” ঘটনা ছিল যার ফলে গত ৮ দিনে পেট্রল এবং ডিজেলের দামে রেকর্ড বৃদ্ধি।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত তার তেলের চাহিদা মেটানোর জন্য আমদানির উপর ৮৫ শতাংশ নির্ভরশীল। রাশিয়ার ইউক্রেনে আগ্রাসন এবং ক্রমবর্ধমান নিষেধাজ্ঞা বিশ্বজুড়ে তেল প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করেছে।
গত বছরের নভেম্বর থেকে প্রথমবারের মতো পেট্রলের দাম লিটার প্রতি ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে এবং আট দিনের মধ্যে সপ্তম সংশোধনের পরে মঙ্গলবার তেলের দাম বেড়েছে।
সব শেষে, দড়ি টানাটানির মাঝে পড়ে নিত্যদিনই সাধারণ মানুষের দুর্গতি বেড়েই চলেছে।