আজ খবর ডেস্ক- অভিনয় জগৎ থেকে সরে যাচ্ছেন অ্যাকশন হিরো ব্রুস উইলিস (Bruce Willis)। ১৯৭০-এর দশকে ব্রডওয়ে মঞ্চে তার কর্মজীবন শুরু হয়। উইলিস, ডাই হার্ড (Die Hard) ফ্র্যাঞ্চাইজিতে জন ম্যাকক্লেইনের চরিত্রে অভিনয় করার পর একজন অ্যাকশন হিরো হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে পাল্প ফিকশন, সিক্সথ সেন্স, লাস্ট ম্যান স্ট্যান্ডিং, আর্মাগেডন ইত্যাদি।
তার পরিবারের মতে, অ্যাফেসিয়া (Aphasia) রোগ ধরা পড়ায় অভিনয় থেকে অবসর নিচ্ছেন তিনি।
বুধবার তার পরিবার ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে উইলিসের একটি ছবি শেয়ার করে লেখেন , অভিনেতা তার সাম্প্রতিক রোগ নির্ণয়ের কারণে “জ্ঞানগত” সমস্যায় ভুগছিলেন। এর ফলস্বরূপ এবং অনেক বিবেচনার সাথে, ব্রুস তার ক্যারিয়ার থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন যা তার জন্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অ্যাফেসিয়া একটি ভাষা সংক্রান্ত ব্যাধি যা মস্তিষ্কের একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে ক্ষতির কারণে সৃষ্ট হয়, এবং ভাষার অভিব্যক্তি এবং বোধগম্যতা নিয়ন্ত্রণ করে। সহজ কথায়, এই রোগটি একজন ব্যক্তিকে অন্যদের সাথে যোগাযোগ করতে অক্ষম করে তোলে। জনস হপকিন্স মেডিসিন অনুসারে, অ্যাফেসিয়ার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল ব্রেন স্ট্রোক বা মাথায় আঘাত।
পুরুষ এবং মহিলা উভয়ই অ্যাফেসিয়া দ্বারা সমানভাবে প্রভাবিত হতে পারে। স্ট্রোকের পরে অনেকেরই অ্যাফেসিয়া ধরা পড়ে। এই ব্যাধিতে আক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষই মধ্য থেকে বৃদ্ধ বয়সের।
এই রোগটির দুটি ভাগ রয়েছে। একটি সাবলীল (fluent) এবং অপরটি অ-সাবলীল (non-fluent)। ফ্লুয়েন্ট অ্যাফেসিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা মস্তিষ্কের টেম্পোরাল লোবের ক্ষতির শিকার হন যার কারণে তারা দীর্ঘ, সম্পূর্ণ বাক্যে কথা বলতে পারে কিন্তু সেই বাক্যের কোনো অর্থ থাকেনা, অপ্রয়োজনীয় শব্দ যোগ করে।
এদিকে, নন-ফ্লুয়েন্ট অ্যাফেসিয়াতে, মানুষের মস্তিষ্কের ফ্রন্টাল লোবের ক্ষতি হয় এবং প্রায়শই তাদের ডান হাত ও পায়ের পক্ষাঘাত হয়। তারা বক্তৃতা বুঝতে পারে এবং তারা কী বলতে চায় তা জানে, তবে তারা প্রায়শই ছোট বাক্যাংশে কথা বলে।
প্রসঙ্গত বলা যায়, দীর্ঘ গবেষণায় দেখা গেছে যে এই মস্তিষ্ক-নিয়ন্ত্রিত ফাংশনগুলির উন্নতির সুযোগ রয়েছে।স্পিচ-ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি (speech-language therapy), অমৌখিক (non-verbal) যোগাযোগ থেরাপি এবং পরিবারের সাথে গ্রুপ থেরাপি দ্রুত পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে।