আজ খবর ডেস্ক- সমস্যা পিছু ছাড়ছে না বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের। বাগটুই কাণ্ডের সিবিআই তদন্ত, আনারুলের বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি, আদালতের তরফে অনুব্রত’র “রক্ষাকবচ” কেড়ে নেওয়া; শাসক দলের বিড়ম্বনা অব্যাহত।
এর মধ্যেই আবার তুমুল বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছেন বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের দুই হেভিওয়েট নেতা, অনুব্রত মণ্ডল এবং আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন বোলপুরে বসে অনুব্রত মণ্ডলের দাবি, অনেকদিন আগেই আনারুল হোসেন’কে ব্লক সভাপতির পদ থেকে সরাতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, রামপুরহাটের বিধায়ক আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে অনুব্রত তা করতে পারেন নি।

প্রসঙ্গত, বাগটুই কাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে আনারুল কে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ ছিল, নিজেদের প্রাণনাশের আশঙ্কার কথা বারবার তাঁরা অনারুলকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু ব্লক সভাপতি আনারুল নির্দেশ না দেওয়ায় ঘটনাস্থলে যায় নি পুলিশ।
এদিন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি বলেন,” আনারুল কে আগেই পদ থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন ২০২৩ পঞ্চায়েত ভোট পর্যন্ত ওকে পদে রাখতে”।

এদিকে রাজ্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেন, ” আমি একটা চিঠি দিয়েছিলাম ২০২১ এর ১০ই মে। সাদা কাগজে স্পষ্ট ভাষায় লিখেছিলাম, জেলার কোনও ব্লক সভাপতিকে বদল না করা হয়। দলের সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার পর আমাকে একটি চিঠি দিতে বলা হয়েছিল। আমি পরে সেটাই করেছি।”
নিহত ভাদু শেখ “কাকা” সম্বোধন করতেন আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় কে। যা এক বাক্যে মেনে নিয়েছেন এলাকার অনেকেই। আবার ভাদুর মৃত্যুর জেরেই যে বাগটুই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তদন্তকারীদের কাছে তা এক প্রকার পরিষ্কার।

এদিন অনুব্রত বনাম আশীষ তরজায় বীরভূম জেলা তৃণমূল কার্যত দুই শিবিরে ভাগ হয়ে গেছে। কিন্তু রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন, এলাকার দাপুটে নেতা অনুব্রত নিজের ইচ্ছে না থাকলেও কেন পদে রেখে দিয়েছিলেন আনারুলকে?
নাকি, এখন বড় ঘটনা ঘটে যাওয়ায় দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন জেলার ওজনদার নেতারা?

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *