আজ খবর ডেস্ক- বর্তমান বিশ্বে, ডায়াবেটিসে (diabetes) আক্রান্ত শত শত প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশু। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বিপ্লব ঘটাতে আসছে কৃত্রিম অগ্ন্যাশয় (pancreas)।

প্রযুক্তিটি ত্বকের নিচে একটি সেন্সর ব্যবহার করে। এটি ক্রমাগত শরীরে শর্করার মাত্রা নিরীক্ষণ করে, এবং একটি পাম্প স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রয়োজনীয় ইনসুলিনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ এবং নির্ধারণ করতে একটি অ্যালগরিদম (algorithm) ব্যবহার করে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রযুক্তিটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে অনেক বেশি কার্যকর। অধ্যাপক পার্থ কর বলেন, ডিভাইসটি ত্বকের নীচে একটি সেন্সরের মাধ্যমে রোগীর গ্লুকোজের মাত্রা তুলে নেয়। রিডিং নিয়ে একটি ডেলিভারি সিস্টেম – পাম্পে পাঠায় এবং তারপরে সিস্টেমটি ঠিক করে যে আক্রান্ত ব্যক্তির কতটা ইনসুলিনের প্রয়োজন ৷

বিভিন্ন সংস্থা দ্বারা নতুন কৃত্রিম অগ্ন্যাশয় তৈরি করা হচ্ছে। এটি একটি “হাইব্রিড ক্লোজড লুপ সিস্টেম” ব্যবহার করে ক্রমাগত রক্তের গ্লুকোজ নিরীক্ষণ করে এবং একটি পাম্পের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইনসুলিন সামঞ্জস্য রাখে। হাইব্রিড সিস্টেমটি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় নয়, কারণ খাবারের সময় যে পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট খাওয়া হয় তা ইনপুট করা দরকার।

যুক্তরাজ্যে প্রায় ৪০০০০০ লোকের টাইপ 1 ডায়াবেটিস (type1 diabetes) রয়েছে, এমন একটি অবস্থা যেখানে শরীর ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না, হরমোন যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ইংল্যান্ড জুড়ে ৩০টিরও বেশি সরকারি ডায়াবেটিস কেন্দ্রে এই অত্যাধুনিক যন্ত্রটি পরীক্ষা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৮৭৫ জন মানুষ এক বছরের মধ্যে উপকৃত হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে টাইপ 1 ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা বেশ চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। কারণ বিশেষত ছোট বাচ্চাদের জন্য, প্রয়োজনীয় ইনসুলিনের মাত্রার তারতম্যের কারণে, এবং তারা কতটা খায় এবং ব্যায়াম করে তা প্রায় বোঝা খুবই কঠিন ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *