আজ খবর ডেস্ক- একধাক্কায় মুরগির দাম বাড়লো বাজারে, উৎসবের মরশুমে হঠাৎ দাম বাড়ায় ক্রেতা থেকে বিক্রেতা, সবারই মাথায় হাত।
শুক্রবার বিভিন্ন বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৮৫ টাকা থেকে ১৯০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা যায়, পাশাপাশি লেয়ার মুরগি ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা। অন্যদিকে সোনালি মুরগি ৩৬০ টাকা, পাকিস্তানি কর্ক ৩৪০ থেকে ৩৫০ টাকা এবং দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায়।
বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় মুরগির সরবরাহ অনেক কম, যে কারণে দাম বাড়ছে। আবার কেউ কেউ বলছেন, বাচ্চার দাম বাড়ায় খামারিরা মুরগির দাম বাড়িয়েছেন হঠাৎ করেই।
এরফলে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের নাভিশ্বাস উঠছে। বাজারে গিয়ে তাঁদের ক্রয় ক্ষমতা নষ্ট হচ্ছে। ক্রেতাদের দাবি, মুরগি আনতে হলে এখন আগের দিন ফোনে অর্ডার করে দিতে হয়। নইলে পাওয়া যায় না।
মুরগির দাম বাড়ার পেছনে কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে সিন্ডিকেট রাজ। বাচ্চা উৎপাদনকারী ‘বড় কোম্পানিগুলোর সিকিন্ডকেট’ দায়ী বলে মনে করছেন অনেকেই।
মুরগির সঙ্গে সঙ্গে বাজারে কাঁচা সবজির দামও আকাশছোঁয়া। স্বাভাবিকভাবেই করোনায় কাজ হারানো, জ্বালানির দাম এবং নাগাড়ে বৃষ্টিকেই দায়ী করছেন অনেকে। কিছু দিন আগে আলুর দাম আকাশছোঁয়া হয়েছিল, সরকারের তরফে ব্যবস্থা নেওয়ার পরেও তা অনেক পরে মধ্যবিত্তের হাতের নাগালে আসে। এবার বাজারে ছক্কা মারছে টমেটো, পেঁয়াজ ইত্যাদি।
এভাবে জিনিসের দাম বাড়তে থাকলে ক্রয় ক্ষমতা একেবারেই থাকবেনা সাধারণের। ফলে খাওয়া-দাওয়ার পাতে কি উঠবে এবং তা কতটা মাত্রায় সেই নিয়ে চিন্তায় পড়েছে মধ্যবিত্ত।