আজ খবর ডেস্ক- ক্রমাগত জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়ছে বাঙালির হেঁসেলে। তরি তরকারি, মাছ থেকে ডাল, এমনকি চালের দাম ও ঊর্ধ্বমুখী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে বৈঠক ডেকেছিলেন ।
রাজ্যের জনসাধারণকে সুরাহা প্রদানের লক্ষ্যে ওই বৈঠক থেকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখে মুখেই বেশ কিছু সবজি, ফল ও আনাজের দাম কমানোর কথা ঘোষণা করলেন । তবে শুধুই সরকারি বিপণন কেন্দ্র “সুফল বাংলা”য়(Sufal Bangla) কম দামে এই সব ফল ও সবজি মিলবে ।
মমতা এদিন জানান , বাজারে যদি প্রতি কেজি আলুর দাম ২২ টাকা হয় , তবে সুফল বাংলায় প্রতি কেজি আলুর দাম ১৮ টাকা হবে । অর্থাৎ এক্ষেত্রে ৪ টাকা দাম কমাল সরকার।
তবে বৈঠক চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রীর পাশে বসে থাকা পরিবহণ মন্ত্রী ববি হাকিম এই বিষয়ে জানান , খুচরো বাজারে এখন প্রতি কেজি আলুর দাম ৩০ টাকা । অর্থাৎ সে ক্ষেত্রে ১২ টাকা কমে সুফল বাংলায় পাওয়া যাবে ।
আলুর সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী পেঁয়াজের দামের ব্যাপারে জানান , বাজারে দু ধরনের পেঁয়াজ পাওয়া যায় । নাসিকের(Nasik) পেঁয়াজ আর সুখসাগর পেঁয়াজ। বাজারে নাসিকের পেঁয়াজের দাম ২২ টাকা। সুফল বাংলায় সেই পেঁয়াজ ২০ টাকায় মিলবে । মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়ায় চাষ হচ্ছে সুখসাগর পেঁয়াজ । বাজারে প্রতি কেজি ২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে এই পেঁয়াজ । সুফল বাংলায় তা পাওয়া যাবে ১৫ টাকায় কেজি দরে ।
আলু পেঁয়াজের পাশাপাশি সুফল বাংলায় কলার দামও কমানো হবে বলে জানান মমতা। তাঁর মতে, ‘সবাই কলাটা খায়। বড়রা খায়, ছোটরা খায়, হিন্দুরা খায়, মুসলমান খায়, শিখরা খায়, খ্রিস্টান খায়।’ বাজারে ডজন প্রতি কলার দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকা । তা সুফল বাংলায় মাত্র ২৫ টাকায় মিলবে।
এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী সুফল বাংলায় পেঁপের দাম ৩ টাকা কমানোর কথা জানান । এখন সুফল বাংলায় কেজি প্রতি পাকা পেঁপের দাম ৪৮ টাকা । তা ৪৫ টাকা হবে। তাছাড়াও তিনি সুন্দরবনের চাষীদের কাছ থেকে তরমুজ সংগ্রহ করার কথা জানান ।
সুফল বাংলায় সেই তরমুজ মিলবে ২৫ টাকা কেজি দরে।
একই সঙ্গে বাইরে প্রতি কেজি লাউ ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে তা সুফলের স্টলে ২২ টাকায় পাওয়া যাবে। বাজারে ফুলকপির দাম ৩৫ টাকা , সুফল বাংলায় তা ২২ টাকা । প্রতি কেজি শশা ৫২ টাকায় পাওয়া যাবে । পাশাপাশি আদা, রসুনও বাজারের তুলনায় প্রতি কেজি ১০ টাকা কম দামে পাওয়া যাবে।
মুখ্যমন্ত্রীর ভাষায় ,আর্থিক সামর্থ সীমিত। তাই সেক্ষেত্রে সব কিছুতে সরকারের দাম কম করার সামর্থ নেই । কিন্তু রোজকার জীবনে যে সব অনাজের প্রয়োজন হয় তার দাম কমানোর চেষ্টা করা হল।