আজ খবর ডেস্ক- আপাত স্বস্তি পড়ুয়া ও অভিভাবকদের।
সোমবার থেকে খুলছে জিডি বিড়লা(GD Birla) স্কুল।
শনিবার নোটিস দিয়ে এমনই জানাল স্কুল কর্তৃপক্ষ।
যদিও সেই নোটিশে স্পষ্ট ভাষায় লেখা রয়েছে, যাঁরা ফি দিয়েছেন তাঁদের জন্যই স্কুল খোলা হচ্ছে। অর্থাৎ টিউশন ফি ও অন্যান্য বকেয়া থাকলে সেই পড়ুয়ারা ক্লাস করতে পারবে না। ফলে স্কুল খুললেও খানিকটা বিতর্ক থেকেই গেল। ওই একই দিনে খুলছে শহরের আরও দু’টি স্কুল— অশোক হল গার্লস এবং মহাদেবী বিড়লা।

জিডি বিড়লা স্কুলের অভিভাবকদের অনেকেই বলছেন, গত ৪৮ ঘণ্টা অনিশ্চয়তার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। পড়ুয়াদের মধ্যে অনেকেই মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেছিল। সেই জায়গা থেকে ফের স্কুল খোলার বিষয়টি অবশ্যই স্বস্তি দিচ্ছে।
তাঁদের মতে, যে কারণেই স্কুল বন্ধ হোক না কেন, তার শাস্তি পড়ুয়ারা কেন পাবে? এমনকি শিক্ষক মহলের একাংশের বক্তব্য অনেকটা একই রকম। তাঁরা বলছেন, কোভিডের কারণে পড়াশোনার ক্ষতি হয়েছে। তার উপর আবার স্কুল বন্ধ থাকলে পড়াশোনা ব্যাহত হবে।

দিন কয়েক আগে মূল সমস্যা শুরু হয়েছিল স্কুলের “ফি” নিয়ে। বেশকিছু অভিভাবকের প্রশ্ন ছিল, দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকলেও সেই সময়ের বেতন এবং “ফি” কেন দিতে হবে?
জিডি বিড়লা স্কুলের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। এরপরেই আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং পড়ুয়াদের নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে গত বৃহস্পতিবার বন্ধ করে দেওয়া হয় দক্ষিণ কলকাতার রানিকুঠির জিডি বিড়লা স্কুল এবং পাম অ্যাভনিউয়ের অশোক হল গার্লস স্কুল।
রীতিমত নোটিশ দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল বন্ধের কথা ঘোষণা করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তে প্রবল সমস্যায় পড়েন দুই স্কুলের পড়ুয়া এবং অভিভাবকরা।

আগাম কিছু না জানিয়েই স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশও করেন তাঁরা। একই সঙ্গে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
বৃহস্পতিবার সকালে পড়ুয়া এবং অভিভাবকরা জিডি বিড়লা স্কুলে গিয়ে দেখতে পান, স্কুল বন্ধের নোটিস টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই ছবি দেখা গিয়েছিল অশোক হল গার্লস স্কুলেও।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *