আজ খবর ডেস্ক- Boris শনিবার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী, বরিস জনসন (Boris Johnson) এবং অন্যান্য সিনিয়র মন্ত্রীদের রাশিয়ায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে পুতিন সরকার। ইউক্রেন আক্রমণের বিষয়ে, রাশিয়ার প্রতি যুক্তরাজ্যের “শত্রু” অবস্থানের কারণে এই পদক্ষেপটি নিয়েছে রাশিয়া। Boris
জনসন ছাড়াও বিদেশ সচিব, লিজ ট্রাস, প্রতিরক্ষা সচিব, বেন ওয়ালেস, কনজারভেটিভ এমপি তথা প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, থেরেসা মে এবং ৯ জন প্রবীণ রাজনীতিবিদকেও রাশিয়ায় প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মস্কো বলেছে, ২৪শে ফেব্রুয়ারি, রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞার প্রতিশোধ নিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাশিয়া প্রসঙ্গত, এই বছরের মার্চ মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেনের (Joe Biden) বিরুদ্ধে একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।
এই পরিপ্রেক্ষিতে , রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রণালয় বলেছে যে, রাশিয়াকে আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করার উদ্দেশ্যে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে লন্ডনের লাগামহীন রাজনৈতিক অপপ্রচার, রাশিয়ার অগ্রগতি ব্যাহত করার পরিস্থিতি তৈরি করা এবং রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির শ্বাসরোধ করাই এই সিদ্ধান্তের জন্য দায়ী।
মন্ত্রক সূত্রে আরও বলা হয়েছে , “ব্রিটিশ নেতৃত্ব ইচ্ছাকৃতভাবে ইউক্রেনের (Ukraine) চারপাশের পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করছে, কিয়েভ (Kyiv) সরকারকে মারাত্মক অস্ত্র দিয়ে আরও যুদ্ধমুখী করছে এবং ন্যাটোর (NATO) পক্ষ থেকেও অনুরূপ প্রচেষ্টার সমন্বয় করছে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই সপ্তাহের শুরুতে, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, উভয়ই মস্কোর উপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে রাশিয়ার দুর্বল অর্থনীতিকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করার লক্ষ্যে তৈরি করা আর্থিক ব্যবস্থা। পাশাপাশি, রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট, পুতিন (Putin), উচ্চপদস্থ রাশিয়ান কর্মকর্তা এবং পুতিনের শাসনকালে উপকৃত ব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়ার নীল নকশাও ওই দুই রাষ্ট্র তৈরি করেছে বলে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মত।