আজ খবর ডেস্ক- Mamata নচিকেতার (Nachiketa) বিখ্যাত গান, “কেউ বলে বুড়ো ভাম…..ব্যাটা মরলেই বাঁচি” সকলেই শুনেছে। সারা জীবন কষ্ট করে, সন্তান মানুষ করে, শেষ জীবনে সেই সন্তানের হাতে লাঞ্চিত হওয়াই কি এই বৃদ্ধ বাবা-মার প্রাপ্য? সত্যিই যেন গানের লাইন ওইসব নির্মম ছেলেমেয়ের মনের কথাই বলছে। সন্তান মানুষ করে, তাদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করে, অবশেষে শেষ আস্থানাটাও কেড়ে নিতে চায় কিছু সন্তান। সম্পত্তির লোভে বৃদ্ধা মা অথবা আত্মীয়কে শারীরিক নির্যাতন এবং অত্যাচারের ঘটনা প্রায়শই শোনা যায়। Mamata

এবার অনুরূপ ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটল খোদ কলকাতায়। বৃদ্ধার নাম পৃথা নন্দী। ওই বৃদ্ধার বাড়ি ৯৯-এ ও ৯৯-সি বিধান সরণি।

বাড়ির অর্ধেক অংশের মালিক ওই বৃদ্ধা। চলতি বছরের ১৪ই ফেব্রুয়ারি তার স্বামী প্রয়াত হন। স্বামীর চলে যাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় তার সম্পত্তি দখলের চেষ্টা। তার অভিযোগ, তাঁকে ওই বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য তাঁর এক আত্মীয়া এবং ভাড়াটে জোর জবরদস্তি শুরু করেছে। এমনকি নতুন নির্মাণকাজও শুরু করা হয়েছে পুরসভার অনুমতি ছাড়াই।

কোনও দিক থেকে কোন সাহায্য না পেয়ে অবশেষে, তিনি মুখ্যমন্ত্রী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন, লীনা গঙ্গোপাধ্যায়কে এ বিষয়ে পৃথক দুটি চিঠি লেখেন।

মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে তিনি অভিযোগ করেছেন, থানা তাঁর কথায় কর্ণপাত করছে না। পাশাপাশি, লীনা গঙ্গোপাধ্যায়কে লেখা চিঠিতে তিনি অভিযোগ করেন, তাঁকে ক্রমাগত প্রাণের ভয় দেখিয়ে উঠে যেতে বলছে ভারাটের লোকজন। এছাড়াও সাদা কাগজে সই করে দিতে বলেছে। আর তাদের কথা মত সেই কাজ না করায় মারধরও করেছে।

তিনি গোটা ঘটনা শ্যামপুকুর থানায় ভারপ্রাপ্ত অফিসারকে জানিয়ে তিনি বলেন, তাঁর অভিযোগপত্রটিকে এফআইআর (FIR) হিসাবে নথিভুক্ত করতে। তবে এ বিষয়ে থানার কোন বক্তব্য এখনও পর্যন্ত সামনে আসেনি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *