আজ খবর ডেস্ক: Delhi Crime রাম নবমীর দিন থেকেই দেশের রাজধানী দিল্লির(Delhi) নির্দিষ্ট কিছু অংশে হিংসা অব্যাহত।
জাহাঙ্গিরপুরী কাণ্ডের তদন্তে সামনে এসেছে বাংলার যোগ। ধৃত মহম্মদ আনসার দিল্লির বাসিন্দা হলেও, তাঁর বাড়ি হলদিয়ায়। পাশাপাশি মহম্মদ আনসার হলদিয়ার(Haldia) জামাই।


সেখানকার কুমারপুর গ্রামে তাঁর শ্বশুরবাড়ি রয়েছে। সেই বাড়ি এখন তালা বন্ধ হলেও কিছুদিন আগেই নাকি সেখানে এসেছিলেন ধৃতের স্ত্রী । এমনকি, আনসারের মামার বাড়িও মহিষাদলের নামালক্ষ্যা গ্রামে। পেশায় ছাট-লোহার ব্যবসায়ী হলেও রাতারাতি যথেষ্ট ধনী হয়েছে সে ।

হলদিয়ায় আনসারের যে বাড়িটি রয়েছে তাকে বাড়ি না বলে প্রাসাদ বলা চলে। শ্বশুরবাড়ির কাছেই বাড়ি করেছে আনসার। লকডাউনের সময় সে হলদিয়াতেই ছিল ।
স্থানীয়দের দাবি, বছরে এক-দু’বার এখানে আসে আনসার। আনসারের গ্রেপ্তারি নিয়ে তাঁর প্রতিবেশীদের দাবি, আনসার ভাল লোক। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। কিন্তু কেন এত মানুষের মধ্যে হঠাৎ আনসার কে দোষী সাব্যস্ত করা হচ্ছে তার কোনো সদুত্তর দিতে পারছেন না গ্রামবাসীরা। Delhi Crime

জানা যাচ্ছে, মেদিনীপুরের বাড়িতে আনসার আসত নিজের পরিবার নিয়ে। এলাকায় দানধ্যান করত।
মঙ্গলবারই মহিষাদল থানায় আসে দিল্লি পুলিশের একটি দল। প্রশাসন সূত্রে খবর, আনসার-সহ ধৃত ৫ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা(National Security) আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। জাহাঙ্গিরপুরীর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মহম্মদ আনসার। ধৃতদের মধ্যে আরও ৫ জনের সঙ্গে বাংলার কোনও যোগ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

তবে দিল্লি পুলিশের দাবি, আনসার ছাড়া আরও এক অভিযুক্তের সঙ্গে বাংলার যোগ রয়েছে। অভিযুক্তের নাম শেখ আসলাম । সে মহিষাদলের কাঞ্চনপুরের বাসিন্দা । সূত্রের খবর, আসলাম কলকাতা গিয়েছিল রাজমিস্ত্রীর কাজে । সেখান থেকেই আজমীর যাওয়ার জন্য দিল্লিতে পৌঁছেছিল।
আচমকাই তাঁর নাম জড়ায় দিল্লীর ঘটনায় এবং তাঁকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে । সেও আনসারের মত এলাকায় “ভাল ছেলে” হিসাবে পরিচিত ছিল।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত আনসারের নেটদুনিয়ায় রাজ মালহোত্রা নামে একটি ফেক অ্যাকাউন্ট রয়েছে । তাতে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে তার ছবিও রয়েছে । ওই হিংসার ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে এদিন দিল্লি পুরসভার পক্ষ থেকে জাহাঙ্গীরপুরী এলাকায় বিভিন্ন দোকান, খুপড়ি ও মসজিদের সামনের অংশ ভেঙে ফেলার জন্য বুলডোজার নিয়ে আসা হয়েছিল। তৎক্ষণাৎ সেখানে পৌঁছন সিপিআইএম পলিটব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাত(Brinda Karat)।


অন্যদিকে কপিল সিবাল সহ সিনিয়র আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। পরে এই উচ্ছেদের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে শীর্ষ আদালত।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *