আজ খবর ডেস্ক: একের পর এক অশান্তি লেগেই আছে বিশ্বভারতীতে। প্রথমে ক্যাম্পাসে পাঁচিল তোলা নিয়ে, তারপর উপাচার্য কে ঘিরে তুমুল অসন্তোষ। এরপরে জনৈক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য ঘিরে হইচই।
এবার বিশ্বভারতীর(Visva Bharati) পড়ুয়া অসীম দাস নামে এক ছাত্রের রহস্যমৃত্যু কে কেন্দ্র করে ছাত্র বিক্ষোভ। শনিবার সকাল থেকে উত্তাল হয়ে উঠল ক্যাম্পাস।
ছাত্রের মৃতদেহ সঙ্গে নিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাড়ির গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়লেন বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা। তাঁদের
অভিযোগ, বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী পড়ুয়ার মৃত্যুর খবর পরিবারকে নাকি জানাননি ।
সেই অভিযোগেই এদিন উপাচার্যের বাসভবন ঘিরে অবস্থান বিক্ষোভ দেখতে শুরু করেন মৃত ছাত্রের পরিবারের লোকজন।
এই ঘটনার এখানেই শেষ নয়। বিশ্বভারতীর উপাচার্য নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন বলে দাবি করেছেন। তিনি ইতিমধ্যে পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছেন অতিরিক্ত নিরাপত্তা চেয়ে।
WB Guv:
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) April 22, 2022
VC Vishwa Bharati msg sent to CS for intervention @WBPolice
“Kindly send security. My life is at risk. The agitators have broken the main gate and an untoward incident is likely to happen if you don't send police protection for me. It is an SOS. Bidyut Chakrabarty”
উপাচার্যের(Vice Chancellor) সেই আবেদন টুইটারে(Twitter) তুলে ধরেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়(Jagdeep Dhankhar)।
উপাচার্য নিজে পুলিশের কাছে নিরাপত্তার আবেদন করে লিখেছিলেন, “যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পুলিশ পাঠান। বিক্ষোভকারীরা আমার বাসভবনের গেট ভাঙতে শুরু করেছে। পুলিশ না এলে চরম আপত্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।”
শুক্রবার মৃত পড়ুয়ার দেহ ময়নাতদন্তের(Postmortem) পর বোলপুরে(Bolpur) আনা হয়। প্রথমে তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বাড়ির সামনে। সেখানে এক দফা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন মৃত ছাত্রের পরিবার এবং পড়ুয়াদের একাংশ।
এরপর সেখান থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় শান্তিনিকেতন(Shantiniketan) থানার সামনে। সেখানেও কিছুক্ষণ বিক্ষোভ চলে। পরে সেখান থেকে শান্তিনিকেতনের উপাসনাগৃহের সামনে নিয়ে যাওয়া হয় দেহ।
সেখানে শোকপ্রকাশ করা হয় মৃত পড়ুয়ার স্মৃতিতে। এরপর দেহ ফের শববাহী গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয় উপাচার্যের বাড়ির সামনে।
প্রসঙ্গত, গতকাল ওই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই দফায় দফায় উত্তাল হয়েছে বিশ্বভারতী। শুক্রবার দিনভর ছাত্রাবাস জুড়ে চলেছে বেলাগাম ভাঙচুর। মৃত ছাত্রের আত্মীয় ও পরিজনরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ অবস্থান করেছিলেন।
পরিবারের বক্তব্য ছিল, অসীম দাসের মৃত্যুকে আত্মহত্যা(Suicide) হিসেবে দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু এটি আত্মহত্যা নয়, বরং খুন করা হয়েছে ।
পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন, উপাচার্য যেন একবার বাইরে এসে পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলেন এবং ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাস দেন।
কিন্তু গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত মৃত পড়ুয়ার পরিজনরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বসে থাকলেও উপাচার্য একবারের জন্য বাইরে এসে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেননি। এতে ওই ছাত্রের পরিবার ও সহপাঠীদের মধ্যে ক্ষোভ আরও বাড়ে।