আজ খবর ডেস্ক: Cpim Bengal বিনা মেঘে বজ্রপাত! রাজ্য সম্মেলনের পর একদিকে যখন দলের ছাত্র ও যুব সংগঠনকে সামনের সারিতে রেখে নানান কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে, ঠিক তখনই দল ছাড়লেন অজন্তা বিশ্বাস(Ajanta Biswas)।


কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অজন্তা বিশ্বাসের অন্যতম প্রধান পরিচয় তিনি সিপিএমের(Cpim) প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক অনিল বিশ্বাসের(Anil Biswas) কন্যা। যদিও তেমন সক্রিয়ভাবে কোনদিনই রাজনীতির ময়দানে দেখা যায়নি অজন্তা কে। তবে এদিন হঠাৎ করেই দলের প্রাথমিক সদস্যপদ ছেড়ে দিলেন তিনি। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়েছে বাম রাজনীতির অন্দরে।

বস্তুত ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই আলিমুদ্দিনের সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল অজন্তার।


রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দৈনিক মুখপত্র “জাগো বাংলা”(Jago Bangla) পত্রিকায় দুই পর্বের একটি উত্তর সম্পাদকীয় লিখেছিলেন অজন্তা। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক অজন্তা বিশ্বাসের এই লেখার মূল প্রতিপাদ্য ছিল, “বাংলার রাজনীতিতে নারী শক্তির ভূমিকা”।
স্বাধীনতা-পূর্ব অবিভক্ত বাংলার বেগম রোকেয়া থেকে শুরু করে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত সকলের কোথায় লিখেছিলেন অজন্তা। তবে বন্দরে গুঞ্জন শুরু হয়, অজন্তার কলমে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নানা প্রকল্পের দরাজ প্রশংসায়।
এই নিয়ে সিপিআইএমের তরফে কারণ দর্শানোর চিঠিও পাঠানো হয়েছিল অজন্তা কে। প্রথমে অজন্তা জানিয়েছিলেন, অনিল বিশ্বাসের অত্যন্ত পরিচিত অধুনা তৃণমূল কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ এক সাংবাদিকের অনুরোধে এই লেখা তিনি লিখেছিলেন।


এমনকি অজন্তা ইউ জানিয়েছিলেন, তিনি জানতেন না তাঁর এই লেখা কোন পত্রিকায় ছাপা হবে।

পরে সিপিএম কলকাতা জেলার সম্পাদকমন্ডলীর সিদ্ধান্ত অনুসারে ৬ মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল একসময় প্রেসিডেন্সির পড়ুয়া এবং প্রাক্তন এসএফআই নেত্রী অজন্তা কে।
অজন্তা বিশ্বাসের পার্টির প্রাথমিক সদস্যপদ ছিল কলকাতা জেলা কমিটির অধ্যাপক শাখার অন্তর্গত। গত মাসে অর্থাৎ মার্চে সিপিএমের বিভিন্ন শাখায় পার্টির সদস্য পদ নবীগণের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে একের পর এক রাজ্য সম্মেলন এবং পার্টি কংগ্রেস থাকায় স্ক্রুটিনির কাজে কিঞ্চিৎ বিলম্ব হয়।


স্ক্রুটিনির কাজ শেষ করতে গিয়ে দলের নজরে পড়ে, নিজের সদস্যপদ রিনিউ করেননি অজন্তা। জানা গেছে তৎক্ষণাৎ যোগাযোগ করা হয়েছিল তাঁর সঙ্গে।
কিন্তু সিপিএমের একটি সূত্রের খবর, ফোনে অজন্তার পক্ষ থেকে ইতিবাচক কোনও উত্তর মেলেনি। Cpim Bengal

সম্প্রতি হয়ে যাওয়া কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে জিতে কাউন্সিলর হয়েছেন বসুন্ধরা গোস্বামী। তিনি আরএসপি(RSP) নেতা ক্ষিতি গোস্বামীর কন্যা। উল্লেখ্য, অজন্তার পর “জাগো বাংলায়” বসুন্ধরাও লিখেছিলেন। আমাকে প্রকাশ্যে অজন্তার সমর্থনে তাঁর পাশেও দাঁড়িয়েছিলেন বসুন্ধরা।


গত প্রায় কুড়ি বছর সিপিএমের সদস্য পদ ছিল অজন্তার। প্রেসিডেন্সিতে পড়ার সময় থেকেই ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের মাধ্যমে দলের কাজ শুরু করেন তিনি। প্রায় নিঃশব্দে অজন্তার এই দল ত্যাগ কার্যত অস্বস্তিকর হয়ে দাঁড়িয়েছে আলিমুদ্দিনের কাছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *