আজ খবর ডেস্ক: গত কয়েক দিন যাবত কংগ্রেস (Congress) শিবিরে প্রশান্ত কিশোরের আনাগোনা চোখে পড়েছে। কার্যত অনেকেই মনে করেছিলেন, প্রশান্ত কিশোর ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগেই কংগ্রেসের মঞ্চ প্রস্তুত করতে চলেছেন। তবে সব আলোচনা সত্ত্বেও তা ভেস্তে গেল।
I declined the generous offer of #congress to join the party as part of the EAG & take responsibility for the elections.
— Prashant Kishor (@PrashantKishor) April 26, 2022
In my humble opinion, more than me the party needs leadership and collective will to fix the deep rooted structural problems through transformational reforms.
ভোটকুশলী, প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) এদিন কংগ্রেসের ইএজি-তে (Empowered action group) যোগ দেওয়ার কংগ্রেসের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন। “আমি EAG এর অংশ হিসাবে পার্টিতে যোগ দেওয়ার এবং নির্বাচনের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য কংগ্রেসের উদার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছি।”
Following a presentation & discussions with Sh. Prashant Kishor, Congress President has constituted a Empowered Action Group 2024 & invited him to join the party as part of the group with defined responsibility. He declined. We appreciate his efforts & suggestion given to party.
— Randeep Singh Surjewala (@rssurjewala) April 26, 2022
এই প্রসঙ্গে টুইটারে রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা লিখেছেন, ”প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor ) সঙ্গে প্রেজেন্টেশন ও আলোচনার পর কংগ্রেস সভাপতি এমপাওয়ার্ড অ্যাকশন গ্রুপ ২০২৪ তৈরি করেছেন। ওঁকে দলে যোগদানের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছিল। উনি তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। দলের জন্য যা পরামর্শ দিয়েছেন, তা স্বাগত জানাচ্ছি।”
কিন্তু সরাসরি দলে যোগ না দিয়ে কি পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ করবেন প্রশান্ত কিশোর? নাকি পুরোপুরিই কংগ্রেসের থেকে দূরত্ব তৈরি হয়ে গেল তাঁর? সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।
এদিকে, তেলেঙ্গানার শাসক দল, কে চন্দ্রশেখর রাও-এর (KCR) টিআরএস (TRS) এর সঙ্গে গত সোমবারই আসন্ন ভোটে কৌশলগত সহায়তার চুক্তি সই করেছে পিকে-র সংস্থা, আইপ্যাক (I-Pac)। প্রসঙ্গত, তেলেঙ্গানায় প্রধান বিরোধী শক্তি হল কংগ্রেস।
স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, প্রশান্ত যদি কংগ্রেসে যোগ দিতে আগ্রহী না-ই হবেন, এবং টিআরএস-এর সঙ্গে চুক্তি করবেন, তাহলে কংগ্রেসকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে নিজের এতটা সময় ব্যয় করলেন কেন?
এবিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মত, হয়তো কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জন্য যে শর্ত তিনি দিয়েছিলেন, সেটা সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) মানতে রাজি হননি। সেকারণেই শেষমুহূর্তে পিছিয়ে এসেছেন পিকে।