আজ খবর ডেস্ক: রাশিয়া আজ, অর্থাৎ বুধবার, ১৯৯৬ সালের ইয়ামাল চুক্তি (Yamal contract) ভঙ্গ করে পোল্যান্ডে (Poland) গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের গ্যাস ট্রান্সমিশন অপারেটর নেটওয়ার্ক থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী , রাশিয়া ইউক্রেনের (Ukraine) মিত্রদের কাছে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করার হুমকি দিয়েছে।
বুলগেরিয়া (Bulgaria), পোল্যান্ডের মতো ন্যাটো (NATO) এবং ইইউ (EU) সদস্যরা এর আগে বলেছিল যে রাশিয়া তাদের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করার আশঙ্কা আছে।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) দাবি করেছেন যে ‘বন্ধুত্বহীন’ দেশগুলোকে গ্যাস আমদানির জন্য রুবেলে অর্থ প্রদান করতে হবে। এই শর্তটি মাত্র কয়েকটি আমদানিকারি দেশই পূরণ করেছে।
ইউক্রেন রাশিয়াকে জ্বালানি নিয়ে ইউরোপকে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগ করেছে। ক্রেমলিনের (Kremlin) কট্টর প্রতিপক্ষ, পোল্যান্ড ইউক্রেনকে আক্রমণ করার জন্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোরতম নিষেধাজ্ঞা চাওয়া ইউরোপীয় দেশগুলির মধ্যে একটি।
বুলগেরিয়ার গ্যাস নেটওয়ার্ক অপারেটর বুলগারট্রান্সগাজের নির্বাহী পরিচালক ভ্লাদিমির মালিনভ বলেছেন যে, বুলগেরিয়াতে রাশিয়ান গ্যাস সরবরাহ আপাতত অব্যাহত আছে। পাশাপাশি হাঙ্গেরি এবং অস্ট্রিয়াও বলেছে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক আছে।
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন গ্যাস সরবরাহ সংস্থা, PGNiG এর আগে বলেছিল যে রাশিয়ার Gazprom, পোল্যান্ডের এর জাতীয় গ্যাস খরচের প্রায় ৫০% কভার করে। জানা গেছে, বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৮ টায় (0600 GMT) গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হওয়ার সম্ভবনা, কিন্তু পোল্যান্ড বলেছে যে এটি মজুত করার দরকার নেই এবং তাদের গ্যাস স্টোরেজ ৭৬% ভর্তি রয়েছে ।
মঙ্গলবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (Zelensky) জানায় , “রাশিয়ার লক্ষ্য শুধু ইউক্রেনের ভূখণ্ড দখল করা নয়, বরং পুরো কেন্দ্র এবং ইউরোপের পূর্ব অংশকে খণ্ড-বিখণ্ড করা ।” জেলেনস্কির প্রধান আপ্ত সহায়ক, ইয়ারমাক বলেন, “রাশিয়া আমাদের মিত্রদের ঐক্য ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে।”
প্রসঙ্গত, ২৪শে ফেব্রুয়ারী শুরু হওয়া ইউক্রেন আক্রমণে হাজার হাজার মানুষ নিহত বা আহত হয়েছে, শহর ও শহরগুলি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং ৫ মিলিয়নেরও বেশি লোককে বিদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে রাশিয়া।