আজ খবর ডেস্ক: এপ্রিল মাস শেষ না হতেই বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা। গ্রীষ্মের দাবদাহে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই। আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান।
ইতিমধ্যেই, রাজধানী দিল্লি এবং উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম ভারতের অনেক জায়গায় তাপপ্রবাহের বিজ্ঞপ্তি এবং হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মতে, একটি তাপপ্রবাহ ঘোষণা করা হয় যখন সমতলের কোনো জায়গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমপক্ষে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি, উপকূলীয় জায়গায় জন্য ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি এবং পার্বত্য অঞ্চলের জন্য কমপক্ষে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি রেকর্ড করা হয়।
প্রসঙ্গত, আজ এখনও পর্যন্ত, কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস (স্বাভাবিকের থেকে ১° বেশি)। গতকাল বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রী বেশি)। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৪২-৮৫ শতাংশ।
এ অবস্থায় নিজেকে এবং পরিবারকে সুস্থ রাখার জন্যে বেশ কিছু নিয়মাবলীর কথা বলেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক:
সকাল ১২টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত রোদের তীব্রতা বেশি থাকে। এ সময় জরুরি কাজ না থাকলে বাইরে বের না হওয়াই ভালো। ঘরের ভিতরে এবং ছায়াযুক্ত জায়গায় থাকুন।
একান্তই যদি বাইরে যেতে হয়, তবে ছাতা/টুপি/টুলি/তোয়ালে ব্যবহার করুন।পাতলা ঢিলেঢালা সুতি, হালকা রঙের পোশাক পরুন। ঘন ঘন জল এবং লবণাক্ত পানীয় (লস্যি, ফলের রস, ওআরএস) পান করুন। তরমুজ, শসা, লেবু, কমলা ইত্যাদি ফল খান। ঠান্ডা জলে বেশি করে স্নান করুন এবং পর্দা, ফ্যান, এসি ইত্যাদির ব্যবহারে ঘরের তাপমাত্রা কমিয়ে দিন।
অ্যালকোহল, চা, কফি এবং কার্বনেটেড কোল্ড ড্রিংকস পান করা থেকে বিরত থাকুন ।
#AmritMahotsav#Unite2FightCorona#LargestVaccineDrive
— Ministry of Health (@MoHFW_INDIA) April 30, 2022
𝗖𝗢𝗩𝗜𝗗 𝗙𝗟𝗔𝗦𝗛https://t.co/wQJRqmz6Xf pic.twitter.com/dVXgg6qkLC
এদিকে, এই গরমেও করোনার প্রকোপ বেড়েই চলেছে। বিশেষজ্ঞরা, দেশজুড়ে চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কা করছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৬৮৮ জন, গতকালের তুলনায় যা খানিকটা বেশি। এর মধ্যে শুধু দিল্লিতেই আক্রান্ত ১৪৯০ জন।
আবার নতুন করে চিন্তায় ফেলছে মহারাষ্ট্রের সংক্রমণের হারও। বর্তমানে, অ্যাকটিভ কেস ১৮ হাজার ৬৮৪। গোটা দেশে, অ্যাকটিভ কেসের হার আপাতত ০.০৪ শতাংশ। দৈনিক পজিটিভিটি রেট ০.৭৪ শতাংশ।