আজ খবর ডেস্ক: তিনি দলের মহাসচিব। এই কয়েকদিন আগে পর্যন্ত ও সর্ব ভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের(AITC) শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।
২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদলের পর থেকে মন্ত্রিসভায় একের পর এক গুরু দায়িত্ব সামলেছেন। প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী বর্তমান শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) কে নিয়ে যখন সিবিআই (CBI) “টানাপোড়েন” চলছে, সেই সময় বেহালা পশ্চিমে(Behala West) দলের ডাকে প্রতিবাদ মিছিল।
এই মিছিলের উদ্দেশ্য নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে রাজনৈতিক ভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে। তাই প্রতিবাদে তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের নেতা কর্মীরা শুক্রবার পথে নামছেন।
পাল্টা অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো বলছে, দলের মহাসচিবের জন্য পথে নামছে তৃণমূল কংগ্রেস। অথচ সেখানে হেভিওয়েট কোন নেতা থাকছেন না। এ থেকেই পরিষ্কার পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে ঠিক কি মনোভাব নিচ্ছে তৃণমূল!
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় বুধবার সিবিআই(CBI) জেরার মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কে।
এদিকে গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পার্থ’র বিধানসভা কেন্দ্র বেহালা পশ্চিমে “চোর ধরো জেল ভরো” স্লোগান দিয়ে মিছিল করেছে সিপিএম(CPIM)।
পাল্টা বেহালা পশ্চিমে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা এক প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছে।
শুক্রবার বিকেল ৪টেয় বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রের অন্তর্গত ১৩২ নম্বর ওয়ার্ডের অজন্তা সিনেমার সামনে নেতা-কর্মীদের জমায়েত। এরপর চৌরাস্তা পর্যন্ত মিছিল করে প্রতিবাদ। ইতিমধ্যেই সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এই মিছিলের পোস্টার। তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির নামে অকারনে রাজনৈতিকভাবে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কে।
এলাকার তৃণমূল নেতাদের দাবি, তাঁদের প্রিয় বিধায়ক ও দলের বিরুদ্ধে সিপিএম, বিজেপি ও কংগ্রেস যেভাবে অপপ্রচার করছে, তার বিরুদ্ধে পথে নেমে প্রতিবাদ করা জরুরি।
এদিকে মিছিলের জন্য তৃণমূলের তরফে যে পোস্টার ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তা দেখে কটাক্ষ করছে বিরোধীরা।
সিপিআইএম রাজ্য কমিটির সদস্য শতরূপ ঘোষ(Shatarup Ghosh) যেমন aajkhobor.com কে বললেন, “সেই রামায়ণের সময় থেকেই প্রচলিত, পাপের ভাগ কেউ নেয় না। বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু থেকে তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ যেভাবে নিজের নিজের সাফাই দিয়েছেন, সেখান থেকেই পরিষ্কার পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে তৃণমূল কী ভাবছে! তাই এই মিছিলে পোস্টারে দলের কোনও বড় নেতার নাম নেই। অথচ মদন মিত্র কে যখন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তৎকালীন ক্রীড়ামন্ত্রীর সমর্থনে পথে নেমে ছিলেন অসংখ্য ক্রীড়াবিদ, প্রায় গোটা মন্ত্রিসভা।”
প্রসঙ্গত, এই পোস্টারে নাম দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুরসভার ১২৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর ছন্দা সরকারের।
যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, এই প্রতিবাদ মিছিলে শুধু তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাই নন বহু বিশিষ্ট মানুষও পথে নামছেন। নেতা-কাউন্সিলরের পাশাপাশি, সব শাখা সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিরোধীদল বিজেপিও গত কয়েকদিন ধরে ক্রমান্বয়ে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং পরেশ অধিকারী কে নিয়ে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য রীতিমত ভাইরাল সশা মিডিয়ায়।
এদিকে বুধবার থেকেই”চোর ধরো জেল ভরো” স্লোগান দিয়ে পথে নেমেছে সিপিএমের ছাত্র যুব সংগঠন। বৃহস্পতিবার বেহালা পশ্চিমের শীলপাড়া থেকে ১৪ নম্বর বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত মিছিল করে সিপিএম।
সেই মিছিলে অংশ নেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী(Sujan Chakraborty)। তিনি বলেন, ‘‘কে বা কারা কী চুরি করেছে, তা রাজ্যের মানুষ জানেন। আমরা চাই এ বার সেই সব চোরেদের জেলে ভরা হোক।”