আজ খবর ডেস্ক: ৩৪ বছরের পুরনো মারধরের মামলায় শুক্রবার পাতিয়ালা আদালতে (Patiala Court) আত্মসমর্পণ (Surrender) করলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার নভজ্যোত সিং সিধু (Navjyot Singh Sidhu)।
সিধু পঞ্জাব কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি। বৃহস্পতিবার এই মামলায় সিধু’কে ১ বছর জেলের সাজা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সূত্রে খবর, এদিন নিজের অনুগামীদের সঙ্গে জেলা দায়রা আদালতে পৌঁছন সিধু। আদালতে তাঁর সঙ্গে ছিলেন ঘনিষ্ঠ সঙ্গী নভজিৎ সিং চিমা।

এর আগে স্বাস্থ্যজনিত কারণে সিধু আত্মসমর্পণের জন্য আরও কয়েক সপ্তাহ সময় চেয়ে অনুরোধ করেছিলেন। এমনকি এদিন সকালে নিজেই টুইট করে সিধু জানিয়েছিলেন, আত্মসমর্পণের জন্য তাঁর আরও কিছুটা সময় প্রয়োজন।
সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) নভজ্যোত সিং সিধুর আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভিকে বিচারপতি এএম খানউইলকর ভারতের প্রধান বিচারপতি এনভি রমান্নার কাছে যেতে বলেছিলেন।
কিন্তু “বিষয়টি প্রধান বিচারপতির সামনে উপস্থাপিত করা যায়নি”, বলেন সিধুর আইনজীবী।

বৃহস্পতিবার, সুপ্রিম কোর্ট এক বছরের ‘কঠোর কারাদণ্ডের’ আদেশ দিয়েছে ক্রিকেটার-রাজনীতিবিদ সিধুকে।
সম্প্রতি পঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের পরাজয়ের পরে পঞ্জাব কংগ্রেসের প্রধান পদ থেকে পদত্যাগ করেন নভজ্যোত সিং সিধু।
অভিষেক মনু সিংভি বলেন, “আমার মক্কেল আত্মসমর্পণ করবেন। তাঁকে বাড়তি সময় দেওয়া হবে কিনা আপনারা ঠিক করুন।” বিচারপতি খানউইলকর বলেন, “আপনারা প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানান। আমরা বিবেচনা করব”।

সিধু’র সময় চাওয়ার অনুরোধের বিরোধিতা করে, বিপক্ষের কৌঁসুলি জানান, “৩৪ বছর কেটে গিয়েছে মানে এই নয় যে অপরাধের মৃত্যু হয়েছে। এখন রায় ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁরা আবার তিন-চার সপ্তাহ সময় চাইছেন।”
উত্তরে সিংভি বলেন, “আমি বলছি আমি আত্মসমর্পণ করব। তা বিবেচনা করা আপনার বিবেচ্য বিষয়।”
বিচারপতি খানউইলকর বলেন, “একটি আনুষ্ঠানিক আবেদন করুন তারপর দেখব। আবেদন ফাইল করুন এবং প্রধান বিচারপতির আদালতে উপস্থাপন করুন, তারপর আমরা দেখব।”

প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সালের ২৭শে ডিসেম্বর গুরনাম সিং নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে সিধুর কথা কাটাকাটি হয়। গুরনাম সিং ছিলেন পাতিয়ালার বাসিন্দা। গাড়ি পার্কিং করা নিয়ে দু’জনের বিবাদ শুরু হয়। অভিযোগ, গুরনাম সিংকে গাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে বার করেন সিধু। তারপর তাঁকে মারধর করেন। হাসপাতালে গুরনাম সিং মারা যান। জনৈক প্রত্যক্ষদর্শী সেসময় বলেছিলেন, সিধু গুরনাম সিং-এর মাথায় গুরুতর আঘাত করেন।
আদালত নিজের আদেশ পর্যালোচনা করে জানিয়েছে, সিধুর “কারাদণ্ডই যথাযথ। জরিমানা ছাড়াও, আমরা এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের শাস্তি আরোপ করা উপযুক্ত বলে মনে করি”।
১৯৯৯ সালে স্থানীয় নিম্ন আদালত থেকে প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস পান সিধু কিন্তু ২০০৬ সালে হাইকোর্ট তাঁকে হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত করে এবং ৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *