আজ খবর ডেস্ক- জীবন প্রমান সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার ব্যাপারে পেনশনভোগীদের জন্যে সুখবর। ৩০ শে নভেম্বর পর্যন্ত জমা দেওয়া যাবে জীবন প্রমাণপত্র। পাশাপাশি, যে সকল পেনশনভোগীরা আশি বছরের উর্ধ্বে, তাঁদের জন্য ১লা অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রমান পত্র জমা দেওয়ার কাজ। অন্যদিকে, যে সকল পেনশনভোগীরা আশি বছরের কম বয়সি, তাঁদের জন্যে এই সুবিধা দেওয়া হবে ১লা নভেম্বর থেকে। চলবে ৩০ শে নভেম্বর পর্যন্ত। তবে চমক এই যে, বাড়ি থেকেই জমা দিতে পারবেন জীবন প্রমান পত্র, তার জন্যে সুবিধা পাওয়া যাবে একাধিক রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকের।
প্রতিমাসে, সঠিক সময়ে পেনশন পাওয়ার জন্য এই জীবন প্রমাণপত্র দেওয়া অত্যন্ত জরুরী। পেনশনভোগীদের সশরীরে ব্যাংক বা পোস্ট অফিসে গিয়ে নথি জমা দিতে হয়। তবে বয়স জনিত কারণে অনেকেই তা সঠিক সময় করে উঠতে পারেন না।
সর্বমোট, ১২ টি ব্যাংকে পাওয়া যাবে এই সুবিধা। ব্যাংকের তরফে ঘরে বসেই জীবন প্রমান পত্র জমা দিতে পারবেন পেনশন ভোগীরা। ভারতীয় স্টেট ব্যাংক, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক, ইন্ডিয়ান ব্যাংক, ব্যাংক অফ বরোদা, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাংক, পাঞ্জাব এন্ড সিন্ড ব্যাংক এবং ইউনিয়ন ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া- তে এই সুবিধা পাবেন গ্রাহকরা। এই জন্যে doorstepbanks.com থেকে পাওয়া যাবে এই সুবিধা। ওই ওয়েবসাইটে লগইন করলে টোল- ফ্রী নম্বর পাবেন গ্রাহকরা এবং সেই টোল-ফ্রী নম্বরে ফোন করে বিস্তারিত তথ্য আদান-প্রদান করে সুযোগ-সুবিধা নিতে পারবেন তাঁরা।
রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের আওতাধীন যে কোনও রকম সরকারি চাকরি করে থাকলে, পেনশনের সুবিধা পাওয়া যায়। অবসর নেওয়ার পর, আজীবন পেনশন ভোগ করার জন্য এই প্রমান পত্র দেওয়া জরুরি।
অনেকের ক্ষেত্রেই ব্যাংক বা পোস্ট অফিসে গিয়ে জীবন প্রমাণপত্র দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কোনও ক্ষেত্রে একা যেতে পারেন না বা বয়স জনিত কারণে নিজে যেতে পারছেন না, এমনটাই দেখা যাচ্ছে হালফিলে। এই জন্যেই এই সুবিধা দেবে সরকার বলে দাবি তাদের।
এছাড়াও পেনশনভোগীরা, (https://jeevanpramaan.gov.in/) ওয়েবসাইটে গিয়ে বা অ্যাপের মাধ্যমে জমা দিতে পারবেন তাঁদের জীবন প্রমান পত্র। এখন থেকে ঘরে বসে এই কাজ সারতে পারবেন তাঁরা। জীবন প্রমান পত্র জমা দেওয়ার জন্য প্রয়োজন হবে মোবাইল নম্বর, আধার কার্ড নম্বর পাশাপাশি দিতে হবে পেনশন সম্বন্ধিত যাবতীয় নথিপত্র। ঘরে বসে এই কাজ করতে না পারলেও কাছের কোনও সাহায্য বা সুবিধা কেন্দ্রে গিয়ে এই কাজ সারতে পারবেন পেনশনভোগীরা। নথিপত্র জমা দেওয়ার জন্য প্রয়োজন হবে একটি ফিঙ্গারপ্রিন্ট যন্ত্র যা মোবাইলের সঙ্গে সংযোগ করে আঙুলের ছাপ প্রধান করা যাবে।
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে পেনশনভোগীর শহরে পোস্ট অফিস বা ব্যাংকে গিয়ে এই কাজ করতে পারছেন না। সে ক্ষেত্রে মোবাইলে পোস্টম্যান অ্যাপ নামক এক সুবিধা থেকেই তাঁরা নথিভূক্ত করতে পারবেন তাঁদের নাম। ব্যাংকের তরফ থেকে ঘরে এই সুবিধা পাওয়া যাবে। বাড়ি বসে এই সুবিধা পেতে গেলে ডাক্তারের তরফ থেকে দেওয়া একটি নথির আপলোড করতে হবে ওই অ্যাপে। যা প্রমাণ করবে ওই পেনশনভোগী বাড়ি থেকে ব্যাংক ও পোস্ট অফিসে যেতে অপারগ।