আজ খবর ডেস্ক: এলিয়েনদের আকর্ষণ করতে এবার মহাকাশে মানুষের নগ্ন (nude) ছবি পাঠাবে নাসা (NASA)। মার্কিন স্পেস এজেন্সির এই অদ্ভুত কর্মকাণ্ডের সম্পর্কে সদ্যই জানা গিয়েছে। এলিয়েন বা ভিনগ্রহীদের নিয়ে মানুষের কৌতূহল বরাবরই তুঙ্গে। এই এলিয়েনদের নিয়ে সিনেমাও তৈরি হয়েছে বেশ কিছু। ভিনগ্রহে আদৌ কারও বাস রয়েছে কিনা তা জানতে অনেকদিন ধরেই চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা।

আর সেই গবেষণা, পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্যই এবার মহাকাশে মানুষদের নগ্ন চিত্র পাঠাতে চলেছেন নাসার বৈজ্ঞানিকরা। এই ছবির মাধ্যমে ভিনগ্রহের বাসিন্দাদের আকর্ষণ করাই হল মূল লক্ষ্য। প্রায় ১৫০ বছর ধরে এলিয়েনদের (Alien) খোঁজ করেছেন বিজ্ঞানীরা। এখনও সাফল্য আসেননি। তাই এবার কিছুটা নতুন পদ্ধতি নেওয়া হচ্ছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা হয়তো আমাদের আকাশগঙ্গা ছায়াপথেই (Milkyway Galaxy) রয়েছে বুদ্ধিমান এলিয়েনরা। আর তাদের আকৃষ্ট করতেই মানুষের নগ্ন ছবি পাঠানো হবে মহাকাশে।

ভিনগ্রহীদের দেখা পেতে, তাদের সঙ্গে ভাব জমাতে মরিয়া মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসার বিজ্ঞানীরা। কীভাবে তাদের পৃথিবীর প্রতি আকৃষ্ট করা যায়, তা নিয়ে নাকি বিস্তর ভাবনা চিন্তা চলছে! আর অনেক ভেবেই একটি পথ পেয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। তাঁরা ঠিক করেছেন, এবার মহাকাশে মানুষের বিবস্ত্র বিশেষ রেখাচিত্র বা স্কেচ পাঠাবেন তাঁরা! মহাকাশ বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, সেই স্কেচ দেখলেই সটান পৃথিবীতে এসে ‘ল্যান্ড’ করবে এলিয়েনদের মহাকাশযান!

পাইওনিয়ার ফলক

প্রসঙ্গত, মহাকাশে মানুষের নগ্ন ছবি পাঠানোর ঘটনা নতুন নয়। ১৯৭২-এর পাইওনিয়ার ১০ এবং ১৯৭৩-এর পাইওনিয়ার ১১ মিশনে মহাকাশে পাঠানো পাইওনিয়ার ফলকগুলিতেও নগ্ন মানুষের ছবি ছিল।

বিকন ইন দ্যা গ্যালাক্সি (Beacon in the Galaxy) নামে পরিচিত এই প্রকল্পটি মহাকাশের অন্যান্য সভ্যতার সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করতে চায় এবং ভিনগ্রহীদের আমন্ত্রণ জানায়। এই প্রকল্পের অধীনেই মহাকাশে নগ্ন মানুষের ছবি পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

পিক্সেলযুক্ত ছবি ছাড়াও বিজ্ঞানীরা মহাকর্ষ ও ডিএনএ-র চিত্রায়ণও এই প্রকল্পের মধ্যে রেখেছেন। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন একটি বাইনারি কোডেড বার্তা সম্ভবত এলিয়ানরা বুঝতে পারবে এবং সাড়া দেবে। তাতেই পৃথিবীর সঙ্গে তাদের সম্পর্ক তৈরি করা যাবে। যদিও বিজ্ঞানীদের অফিসায়াল নথি বলছে, মানুষের গণিতের ধারনাটি এক্সট্রা-টেরিটস্ট্রিয়াল ইন্টেলিজেনসির কাছে সম্ভাব্যভাবে খুবই অচেনা। বাইনারি (binary) সম্ভবত বুদ্ধিমত্তা জুড়ে সার্বজনীন।

বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, একটি বিশেষ ধরনের সাংকেতিক বার্তা ভিনগ্রহীরা সম্ভবত সহজেই বুঝতে পারবে। বিজ্ঞানীদের অনুমান, মানুষ যে নিয়মে অঙ্ক কষে, তা ভিনগ্রহীদের কাছে অজানা। কিন্তু বাইনারি পদ্ধতি সর্বত্রই গ্রহণযোগ্য এবং মহাবিশ্বের অন্য কোথাও কোনও বুদ্ধিমান প্রাণী থাকলে তারা অবশ্যই এই পদ্ধতি জানবে। প্রসঙ্গত, বাইনারি পদ্ধতি হল এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে শুধুমাত্র ০ (শূন্য) এবং ১ (এক), এই দুটি সংখ্যা ব্যবহার করে দীর্ঘ বার্তা লিখে ফেলা যায়। এই বিশেষ ধরনের প্রক্রিয়ায় হ্যাঁ অথবা না, সাদা অথবা কালো, ভরাট অথবা শূন্যতা প্রভৃতি ইউনিটগুলি ব্যবহার করা হয়।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বোঝা যাবে যে এলিয়েনদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য এই পদ্ধতি কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *