আজ খবর ডেস্ক: এসএসসি (SSC) নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে উত্তপ্ত রাজ্য । চলছে সিবিআই তদন্ত। শুধু তাই নয়, চাকরিপ্রার্থীদের থেকে নেওয়া অর্থ কোন কোন অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে সেই বিষয়টি আবার তদন্ত করে দেখছে ইডি।
তবে এখানেই শেষ নয়। এই মুহূর্তে রাজ্যে একযোগে আরও বেশ কয়েকটি তদন্তের দায়িত্ব সামলাতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেখানে যেমন কয়লা কান্ড, গরু পাচার রয়েছে ঠিক তেমনই রয়েছে ভোট-পরবর্তী হিংসার ইস্যু।
বলাই বাহুল্য, প্রতিটি ক্ষেত্রে তদন্তকারীদের মূল লক্ষ্য রাজ্যের শাসক দলের নেতা মন্ত্রীরা। ইতিমধ্যেই যে বিষয়টিকে “রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক আচরণ” বলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
কেন্দ্রের সিবিআই, ইডির পাল্টা এবার রাজ্যের সিআইডি (CID)। নজরে বিজেপির একাধিক নেতা সাংসদ, বিধায়ক।
অভিযোগ কার্যত শিক্ষক নিয়োগের ধাঁচে, কল্যাণী এইমসে (AIIMS Kalyani) প্রভাব খাটিয়ে বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার নিশানায় বিজেপির ২ সাংসদ, ২ বিধায়ক-সহ ৮ জনের নামে এফআইআর (FIR) দায়ের হয়েছে ইতিমধ্যেই। তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিআইডি। বৃহস্পতিবার যাবতীয় নথি সিআইডির হাতে তুলে দিল কল্যাণী থানার পুলিশ।
সূত্রের খবর, কল্যাণী এইমসে নিয়োগ-দুর্নীতির অভিযোগে এফআইআরে নাম রয়েছে বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার, রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার, বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা ও চাকদার বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ-সহ ৮ জনের। বৃহস্পতিবার তদন্ত সংক্রান্ত নথি পুলিশ তুলে দিয়েছে সিআইডির হাতে। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সরিফুল ইসলাম নামে মুর্শিদাবাদের এক বাসিন্দা অভিযোগ করেন কল্যাণী থানায়।
সরিফুলের বক্তব্য, তিনি এইমসের এক জন চাকরিপ্রার্থী। সরিফুল দাবি করেন, তিনি জানতে পেরেছেন বিজেপি নেতাদের একটি অংশ টাকার বিনিময়ে নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে কল্যাণী এইমসের বিভিন্ন পদে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন অনেককে। এর পর কেন্দ্রীয় সরকারের এই হাসপাতলে বিভিন্ন পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই বাঁকুড়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ডা. সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে ঘনিষ্ঠদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে সরব হয়েছিল বাঁকুড়ার বাম ও তৃণমূল নেতৃত্ব।
অভিযোগ উঠেছে, সুভাষ সরকার বাঁকুড়ার বিজেপি (BJP) বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানার মেয়ে মৈত্রী দানাকে কল্যাণী AIIMS-এর নার্সিং কলেজে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর পদে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন।
কোনওরকম পরীক্ষা ছাড়াই ‘সুপারিশের জোরে’ মৈত্রী দানা নিয়োগপত্র পেয়েছেন বলে অভিযোগ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা।
গেরুয়া শিবির ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে, বিভিন্ন দুর্নীতিতে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের নাম জড়ানোয় পাল্টা বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে “রাজনীতি” করছে রাজ্যের শাসক দল।