আজ খবর ডেস্ক: ৮০০ কোটি টাকার জগন্নাথ মন্দির করিডোর (Jagannath Temple Corridor) প্রকল্পে স্থগিতাদেশের আবেদন বাতিল করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। “করিডোর” প্রকল্পে সায় দিল দেশের শীর্ষ আদালত।


এই প্রকল্পে আপত্তি জানিয়ে স্থানীয় নাগরিকদের একাংশ জনস্বার্থ মামলা (PIL) করেছিলেন। এদিন শুনানি চলাকালীন সেই মামলা ‘ফালতু’ বলে উল্লেখ করেছে সর্বোচ্চ আদালত।

বিচারপতি বিআর গাভাই (BR Gavai) এবং বিচারপতি হিমা কোহলির (Hima Kohli) বেঞ্চ আজ এই জনস্বার্থ মামলা নিয়ে মন্তব্য করেন, “জনস্বার্থ রক্ষার নামে মামলা করে জনস্বার্থকেই জলাঞ্জলি দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে কোনও কোনও ক্ষেত্রে।”


প্রসঙ্গত, মাস খানেক আগে দিল্লিতে এক সম্মেলনে দেশের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা (N V Ramana) কথায় কথায় জনস্বার্থ মামলা করার প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।

এন ভি রামানা

এদিন বিচারপতিরা জানান, এই ভাবে আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট করা হচ্ছে।

এদিনের শুনানিতে বেঞ্চের তরফে জানানো হয়, ‘আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া'(ASI) এই প্রকল্পকে সবুজ সংকেত দিয়েছে। ২০২৩ সালের মে মাসের মধ্যেই তা সম্পূর্ণ করার কথা।


আদালত আবেদনকারী অর্ধেন্দু কুমার দাস ও সুমন্ত কুমার উভয়কে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে।
এর আগে, প্রবীণ আইনজীবী মহালক্ষ্মী পাভানি আবেদনকারীদের পক্ষে উপস্থিত হয়ে বলেছিলেন, একটি স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা রয়েছে যে হেরিটেজ এলাকায় কোনও নির্মাণ করা যাবে না। রাজ্য সরকার নির্মাণের অনুমতিও নেয়নি। তিনি আদালতে এও জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকার ন্যাশনাল মনুমেন্ট অথরিটির (NMA) থেকে কাজ চালু করার শংসাপত্র (NOC) পেয়েছে এবং নির্মাণকার্য শুরু করেছে।

স্থানীয় বেশকিছু আইনজীবীদের মতামত ছিল, NMA একটি বৈধ শংসাপত্র জারি করতে পারে না। এটি শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সংশ্লিষ্ট আধিকারিক দিতে পারেন।

অশোক কুমার পারিজা


একই সময়ে, ওড়িশার অ্যাডভোকেট জেনারেল (Advocate General) অশোক কুমার পারিজা বলেছিলেন, প্রাচীন স্মৃতিস্তম্ভ এবং প্রত্নতাত্ত্বিক সাইট আইনের অধীনে। এর দায়িত্ব এনএমএ (NMA)। ওডিশা সরকারের সংস্কৃতি পরিচালককে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ হিসাবে অবহিত করা হয়েছে। প্রতিদিন ৬০ হাজার মানুষ মন্দিরে যান, যার জন্য আরও শৌচালয় প্রয়োজন।

পিটিশনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সংস্থা প্রাচীন
স্মৃতিস্তম্ভ-প্রত্নতাত্ত্বিক সাইট এবং সংবিধানের ধারা 20A-এর চরম লঙ্ঘন করছে। এতে অভিযোগ করা হয়েছে যে ওডিশা সরকার অননুমোদিত নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে যা থেকে প্রাচীন মন্দিরের কাঠামোর গুরুতর ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

ওয়াকিবহাল মহল মনে করিয়ে দিচ্ছে, অতীতের “তাজ করিডোর” মামলার কথা। উত্তরপ্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী কে যে কারণে সিবিআই এর মুখোমুখি হতে হয়েছিল।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *