আজ খবর ডেস্ক : আসতে কথা বল, লোকে শুনলে কি ভাববে ! এই কথাগুলির সাথে আমরা প্রত্যেকেই কম বেশি পরিচিত । কিন্তু আমরা বলছি প্রাণ খুলে চিৎকার করুন। কোনও ক্ষতি নেই, বরং লাভই রয়েছে। নিশ্চই ভাবছেন কি বলছি ! তবে এমনটাই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। জানা যাচ্ছে , মন ভাল রাখার জন্য অনেকেই এই দাওয়াই দিচ্ছেন। এর পোশাকি নাম, ‘স্ক্রিম থেরাপি’ (Scream Therapy)। চিৎকার করা আবার কোন থেরাপি হয় নাকি ! আসুন জেনে নেওয়া যাক বিষয়টি কি।

‘ স্ক্রিম থেরাপি’ কি?

তেমন কিছু জটিল ব্যাপার নয়, শুধু মনের সুখে তারস্বরে চিৎকার করতে হবে আপনাকে। তাতেই মনের যাবতীয় রাগ, দুঃখ, ক্ষোভ, না পাওয়ার যন্ত্রণা, সমস্ত কিছু বেরিয়ে যাবে। এতে আপনার মন হালকা হবে, অনেক শান্ত অনুভব করবেন ভিতর থেকে। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন চিৎকার করার আরও গুণাগুণ রয়েছে। যেমন এতে হার্ট ভাল থাকে। ছোটবেলায় অনেক বাচ্চাকেই কাঁদানোর পরামর্শ দেন বাড়ির বড়রা। এতে তাঁদের হার্টের জোর বাড়বে বলে মনে করা হয়। এই তত্ত্বে খুব ভুল কিছু খুঁজে পাননি বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। তবে সবসময় দুঃখ বা যন্ত্রণাতে যে চিৎকার করতে হবে, এমনটা কিন্তু একেবারেই নয়। সেক্ষেত্রে ভূতের সিনেমা দেখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। যারা ভূতে ভয় পান, তাঁরা অনেক সময়ই ভূতের সিনেমা দেখে কেঁপে ওঠেন বা চিৎকার করে ওঠেন। এতে তাঁদের মনে ভিতরে জমে থাকা আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। তাতেও আখেরে লাভই হয়।

বর্তমানে প্রতিনিয়তই জীবনের ইঁদুর দৌড়ে সেরা হওয়ার লড়াই চলছে প্রতিক্ষেত্রে। এসবের মধ্যে মানুষ এখন এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে যে, তাঁর আবেগের বহিঃপ্রকাশ কমে যাচ্ছে। তার মানে কখনই এমনটা নয় যে, সেই মানুষের মনের আবেগ তার অস্তিত্ব হারাচ্ছে। বরং ব্যস্ততার চাপে মনের অতলে সেই সমস্ত আবেগ কোথাও চাপা পড়ে যাচ্ছে। ফলত বাড়ছে মনের বোঝা। তাতে একজন মানুষের মানসিক ক্ষতির আশঙ্কা অনেকগুণ বেড়ে যেতে পারে। তাই সেই আশঙ্কা দূর করতে অভিনব পন্থা খুঁজেছেন বিশেষজ্ঞরা। হালকা করতে তাঁরা এখন তাই মন খুলে চিৎকার করার পরামর্শ দিচ্ছেন। তাঁদের মতে, এতেই যাবতীয় আবেগ প্রকাশ করা সম্ভব। তাই যতো ইচ্ছে চিৎকার করুন, কিন্তু অবশ্যই পাড়া-প্রতিবেশী ও শব্দদূষণের কথা মাথায় রেখে। কোনওভাবেই যেন আপনার আবেগের বহিঃপ্রকাশ অন্যের সমস্যার কারণ না হয়ে ওঠে।।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *