আজ খবর ডেস্ক- স্নানের সময়টা বেশ আয়েশ করে উপভোগ করেন মানুষ বিশেষ করে যদি সেটা হয়ে থাকে ছুটির দিন। একদিকে চলে বাথরুম সিঙ্গিং অন্যদিকে নানা উপায়ে নিজেকে পরিপূর্ণ দেখানোর আয়োজন।অনেকে আবার স্নানের সময় বিদেশী সাবান বা শ্যাম্পু ব্যবহার করা পছন্দ করেন। রূপচর্চা, চুলের যত্ন, পেডিকিওর-মেনিকিওর এসবকিছুই একসঙ্গে ঠাঁই পায় স্নানের সময়। অনেকে আবার দিনের মধ্যে দুই থেকে তিনবার স্নান করে ফেলেন নিজের ত্বককে পরিষ্কার রাখার জন্য। তরুতাজা লাগলে বা নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দেখালে একটি বিশেষ ইতিবাচক লক্ষণ দেখা যায় মনের মধ্যে।

বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, স্নানের সময় বিদেশী কোনও পণ্য ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। তাতে বিজ্ঞাপনের লাভ হওয়া এবং সংস্থার অর্থ উপার্জন ছাড়া আর কিছুই হয় না। দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করার মতন কিছু জিনিস স্নানের জলে মিশিয়ে নিলে ত্বক হয়ে উঠবে ঝলমলে। এবং তার কারণে সারাদিন তরতাজাও থাকা যাবে সর্বত্র।

বাড়িতে যে সকল জিনিস ব্যবহার হয় যেমন গ্রিন টি, দুধ, ওটমিল, মধু এমন ধরনের কিছু জিনিস ব্যবহার করলেই কেল্লাফতে।

গ্রীন টি: বাথটাবে স্নান করলে ৭ টি ব্যাগ এবং বালতি জলে স্নান করলে ২ টি ব্যাগ। স্নানের আগে জলে টি ব্যাগ ডুবিয়ে রাখলে তার থেকে বেরোনো উপাদান শরীরের ত্বকের জন্য অত্যন্ত ভালো। অবশ্য চিকিৎসকেরা বলছেন গরম জলে কোনও মূল্যেই যেন টি-ব্যাগ ডোবানো না হয়, তাতে ত্বক শুকনো হয়ে উঠবে।

দুধ: ত্বকের মৃতকোষ ঝেড়ে ফেলার জন্য দুধে স্নান করা অত্যন্ত প্রয়োজন। তবে এতে চমকে ওঠার মতন কিছুই নেই। সাধারণ স্নানের জলে এক কাপ দুধ মিশিয়ে সেই জল দিয়ে স্নান করলে ত্বক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হবে এবং ঝকঝকে হবে।

ওটমিল: শরীর তরতাজা রাখার জন্য এবং রুক্ষতা কমানোর জন্য ওটমিল অবশ্যই ব্যবহার করুন। অল্প গরম জলে ওটমিল এবং মধু ভিজিয়ে রাখলে বা শুধু ওটমিল ভিজিয়ে রাখলে সেই জল স্নানের জলের সঙ্গে মিশিয়ে স্নান করলে দেখা দেবে ত্বকের পরিবর্তন। শীত আসন্ন, তাই শীতে ত্বক হাইড্রেট করার জন্য এই পদ্ধতি খুবই কাজে লাগবে।

মধু: স্নানের জলে দুই চামচ মধু ফেলে রাখতে হবে ১৫ মিনিট। এরপর তাতে এক চিমটি বেকিং সোডা দিয়ে ফের ১০ মিনিট রাখতে হবে। তারপর সেই জলে স্নান করলে ত্বকের উজ্জ্বাল্য বাড়বে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *