আজ খবর ডেস্ক- নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ইতিমধ্যেই প্রকাশ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। খড়দহ, শান্তিপুর, দিনহাটা এবং গোসাবা কেন্দ্রের উপনির্বাচন আগামী ৩০ শে অক্টোবর। সেই উপনির্বাচনের প্রচারে এদিন গোসাবায় বক্তব্য রাখলেন তৃণমূল নেতা তথা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গোসাবায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুব্রত মন্ডলের হয়ে প্রচারে এসে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপির দিকে।
পাশাপাশি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা করা একাধিক স্কিম এবং উন্নয়নের দিক তুলে ধরলেন প্রচারের মাধ্যমে। বাংলার এখন প্রধান বিরোধী মুখ বিজেপি, কার্যত তাদেরই প্রত্যেকটি নেতিবাচক দিক চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন এই যুবনেতা। প্রত্যেকটি মানুষের ব্যাংক একাউন্টে আমফানের জন্যে যে পনেরো লাখ টাকা করে নরেন্দ্র মোদির দেওয়ার কথা ছিল তা কেউই যে পাননি, সেই কথাও মনে করিয়ে দিলেন তিনি এদিন।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতায় উঠে আসে রাজ্য সরকারের তরফে ঘোষণা করা একাধিক স্কিম, যেমন লক্ষীর ভান্ডার, স্বাস্থ্য সাথী, দুয়ারে রেশন।ইতিমধ্যেই দুয়ারে রেশন নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। সংগঠনের তরফ বলা হয়েছে, বাড়ি বাড়ি ঘুরে রেশন পৌঁছে দেওয়ার মতন পরিকাঠামো এখনও অনেকেরই হয়নি। তবে সেই বিষয়কে কিছুটা পাশে সরিয়ে এদিন অভিষেক বলেন, পাইলট স্কিম চালু হয়ে গিয়েছে, যথাসম্ভব এই সুযোগ সুবিধা পাবেন বাংলার মানুষ।
এদিনের ভাষণে বারবার তাঁর গলায় উঠে আসে বিজেপি বিরোধী সুর। ধর্মকে কাজে লাগিয়ে যে রাজনৈতিক দল নিজের সুবিধা তৈরি করার চেষ্টা করছে, তাকে দূরে ছুঁড়ে ফেলে দিতে হবে। এমনই মন্তব্য করেন অভিষেক গোসাবার সভা থেকে। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, যে সকল রাজ্যে বিজেপি আছে সেই জায়গা থেকে তাদেরকে উৎখাত করতে হবে। যদি সেই ক্ষমতা কারুর থেকে থাকে, তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু ত্রিপুরা বা গোয়া নয়, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি তৃণমূলের পরবর্তী পাখির চোখ।
এখানেই শেষ নয়, একনাগাড়ে বেড়ে চলা জ্বালানির দাম, পাশাপাশি ভোজ্যতেল, পোস্তর দাম কেন নিয়ন্ত্রণ করছে না কেন্দ্রীয় সরকার সেই বিষয়েও তোপ দাগলেন অভিষেক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুজোতে ক্লাবগুলিকে টাকা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিজেপি আদালতে গিয়েছে, সেই বিষয়েকেও উস্কে দিলেন এই যুবনেতা। সুন্দরবন উন্নয়নের জন্য যে দু লক্ষ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর, সেই টাকা থেকেও বঞ্চিত রয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এখন বিজেপি নেতাদের কাউকেই দেখা যাচ্ছে না এলাকায়, এই সমস্ত বিষয়কেই হাতিয়ার করে জনসভায় ক্ষোভ উগরে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।